গ্রামীণফোনের লক্ষ্য লৈঙ্গিক সমতাপূর্ণ কর্মক্ষেত্র তৈরি। প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বৈষম্যহীনতা ও লৈঙ্গিক সমতাই পারস্পারিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও পেশাদারি ক্ষেত্রে মাধ্যমে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনে গতকাল বসুন্ধরার জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত এক প্যানেল আলোচনায় এ ব্যাপারে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানকে সুসংহত করলো প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘#ব্যালেন্সফরবেটার’- এর ওপর প্যানেল আলোচনায় গুরুত্বারোপ করে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ত্রপা মজুমদার, বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার মিশু চৌধুরী এবং গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল। প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা গুরুত্ব দেন কিভাবে প্রতিষ্ঠান আরও ভালোভাবে লৈঙ্গিক সমতা বজায় রাখতে পারে এবং পরিবার কিভাবে প্রথাগত ধারণার বাইরে গিয়ে বৃহত্তর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালক হিসেবে কাজ করেন গ্রামীণফোনের হেড অব ইন্টারনাল কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।
আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণফোনে প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি। আলোচনায় তিনি উভয় লিঙ্গের নিজ নিজ দায়িত্বের ওপরে গুরুত্বারোপ করেন। টেলিনর বিজনেস ইউনিটে লৈঙ্গিক সমতার ওপর দৃষ্টি নিবিদ্ধ করে তিনি বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায় থেকেই লৈঙ্গিক সমতার বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে, আমি ও আমার ব্যবস্থাপনা দল সবাই এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘পরিবর্তনের প্রবক্তা হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আমার প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের জন্য লৈঙ্গিক সমতা ত্বরাণ্বিত করতে কাজ করবো।’, এ সময় গ্রামীণফোন ও ব্যবস্থাপনা দলের পক্ষ হয়ে এমন অঙ্গীকার করেন মাইকেল ফোলি।