দেশীয় ই-কমার্স উদ্যোক্তারা দাবি জানিয়েছে প্রস্তাবিত ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা যে সংশোধন করা হচ্ছে সেটিতে যাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন না হয়। গত দুই মাস আগে গৃহীত হওয়া ডিজিটাল কমার্স নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে যে, ই-কমার্স খাতে কোন বিদেশী কোম্পানির ৪৯% এর বেশি মালিকানা থাকতে পারবে না। কিন্তু অতি সাম্প্রতিক সময়ে সরকার এটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে বিদেশী মালিকানার কোন সীমা থাকছে না।
ডেইলি স্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে দেশীয় উদ্যোক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান যে, শর্তহীন ১০০% বিদেশি মালিকানা অনুমোদন দেয়া হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। উদ্যোক্তারা বলেন যে, ইতিমধ্যে একটি বিদেশী মালিকানাধীন ই – কমার্স প্রতিষ্ঠান বাজারে প্রোডাক্টের দাম কৃত্তিম ভাবে কমিয়ে (Price Dumping) বাজার দখল করায় উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বলেন যে, দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে এবং দেশীয় কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে ৫০-১০০% বিদেশী মালিকানা অনুমুতি দেওয়া যেতে পারে। প্রস্তাবিত শর্তগুল হলোঃ-
বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কোন একক বিনিয়োগ হিসেবে আসতে পারবে না। ‘বিদেশে নিবন্ধিত হোল্ডিং ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি’ হিসাবে আসতে হবে এবং বিদেশে নিবন্ধিত হোল্ডিং কোম্পানি ন্যূনত্বম ৫ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার থাকতে হবে। শুধু এই শর্তেই, সেটি বাংলাদেশের কোন ই-কমার্স কোম্পানির ১০০ % শেয়ার মালিকানায় নিতে পারবে।
ই-কমার্স কোম্পানির Technology Platform সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিবিদের মাদ্ধমে তৈরি হতে হবে।
সকল ধরনের ডাটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হোস্টেড করতে হবে।
শুধু মাত্র ‘মার্কেট-প্লেস’ মডেলে কোন বিদেশী বিনিয়োগ হতে পারবে।
আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের নামে এবং বিদেশী ব্যবস্থপনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৯% সীমা কার্যকর থাকবে।
আলোচনা আয়োজন করে দেশের ১০ টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা এ পর্যন্ত গত ৫ বছরে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং ৫০,০০০ এর বেশী কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, এটুআই এর প্রতিনিধি রিজওয়ানুল জামি, আই-সিটি মন্ত্রণালয়ের স্টার্টআপ জাতীয় পরামর্শক নাইম আশরাফি ও বেসিসের ডিজিটাল কমার্স কমিটির চেয়ারম্যান এস এম কামাল। পরিচালনা করেন প্রিয় শপের প্রধান আশিকুর আলম খান।