প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের ফান্ডস্টার্টার

গ্রামীণফোনের হোয়াইটবোর্ড  প্রযুক্তি নির্ভর র্স্টার্টআপদের সহায়তার জন্য ‘ফান্ডস্টার্টার’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে । গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) জিপিহাউজে ‘ফান্ডস্টার্টার’  অনুষ্ঠানে  মোবাইল অ্যাপ ও মোবাইল গেমস নিয়ে কাজ করা ৮টি  স্টার্টআপ  দেড়শ’র বেশি বিনিয়োগকারীর সামনে নিজেদের ব্যবসা  উপস্থাপন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি, ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন।

‘ফান্ডস্টার্টার’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপগুলো (অ্যাপ, গেম ও ওয়েব) একসাথে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে। ফান্ডস্টার্টারে ধারণা উপস্থাপনের জন্য গত ৬ ডিসেম্বর একশ’র বেশি স্টার্টআপের আবেদন যাচাই করে দেখা হয়। আবেদনকৃতদের মধ্য থেকে আটটি স্টার্টআপকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ধারণা উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোকে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে প্রস্তুত করে তুলতে একটি বুট ক্যাম্পও অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন,” ডিজিটালাইজেশন সমাজে একটি সমতা আনয়নকারী এবং গ্রামীণফোন এই ক্ষেত্রে একটি পথিকৃত। আমাদের সরকার অর্থনীতিতে ডিজিটালাইজেশনের ভূমিকার গুরুত্ব বোঝে এবং গ্রামীণফোন ও এম মতো অন‌্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নতি চায়, কারণ এদের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি।”

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলো: মাইন্ডফিশার গেমস, দূরবীন একাডেমি, মেঘদূত, খাসফুড, ট্রাক লাগবে, রেপ্টো, ব্যাংককম্পেয়ারবিডি এবং ডকটোরোলা বিনিয়োগকারীদের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ পায়। বিভিন্ন ব্যাংক, এফএমসিজি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এদিন বিনিয়োগকারী হিসেবে উপস্থিত থেকে  স্টার্টআপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং তাদের উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রদর্শন করেন।

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে স্টার্টআপদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করে, গ্রামীণফোন সিই্ও মাইকেল ফোলি বলেন,” ডিজিটাল বিপ্লব, টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ এবং আমরা ডিজিটাল বিশ্বে প্রাসংগিক থাকতে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এসব উদ্যোক্তার দিকে তাকিয়ে আছি।”

গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা তরুণ উদ্যোক্তাদের ধারণাগুলোকে পেশাদার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যাটফর্ম করে দিচ্ছি। তাদের উদ্যােগগুলো সফল হলে দেশের ডজডটালা ইকোসিস্টেম আরো শক্তিশালী হবে। কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে বিনিয়োগকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ণ হলো আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য। আমরা এ আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং এ আয়োজন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।’

ধারণা উপস্থাপন অনুষ্ঠানের পর একটি নেটওয়ার্কিং সেশনও অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিনিয়োগকারীরা স্টার্টআপগুলোর স্টল থেকে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এবং ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার জন্য নিজেরা পরিচিত হয়ে নেন। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিতদের ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব ট্রান্সফরমেশন কাজী মাহবুব, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার টিনা জাবিন।

Share This:

*

*