মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ সাইবার ক্রাইম ও সাইবার জগতে নিজের সুরক্ষা নিয়ে কর্মশালা করেছে অপরাধ বিষয়ক গবেষোণামুলক সংগঠন ক্রাইম রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (ক্রাফ)। বুধবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যপি এই কর্মশালা।
কর্মশালায় সাইবার জগতে নিজের সুরক্ষা রাখার বিষয়ে ক্রাফের মহাসচিব কাজী মিনহার মহসিন বলেন, আমরা বাস্তব জীবনে চলাফেরার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করি। ঠিক সেইভাবেই নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রেখে সাইবার জগতে বিচরণ করতে পারি, সেই বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের একাউন্ট সমুহের দিকে। কারণ সাইবার স্পেস থেকে যেন কোন ক্ষতিই হওয়ার সম্ভাবনা এখান থেকেই অনেক বেশি থাকে। এরমধ্যে সবার আগেই যার নাম আসে তা হচ্ছে ফেসবুক। কারণ এই একটি মাধ্যমের একাউন্টের তথ্য দিয়েই আমাদের জীবনের অনেক কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব। যা আমরা সবাই জানি।
দিনব্যপি এই কর্মশালায় সাইবার জগতে কি কি কাজ করলে মানুষ আইনি বিপদে পড়তে পারে। আর কেউ যদি সাইবার স্পেসে হেনস্তা করে বা কেউ যদি সাইবার বুলিং এর স্বীকার হয়, তাহলে কীভাবে সে আইনি সহায়তা পেতে পারে এইসব বিষয়ে কথা বলেন ক্রাফের টেকনো লিগ্যাল স্পেশালিষ্ট অ্যাডভোকেট সাইমুম রেজা পিয়াস। কয়েকটা দেশের সাইবার ক্রিমিনাল মিলে যদি একটা দেশে সাইবার হামলা চালায়, সেক্ষেত্রের বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।
কর্মশালা শেষে আসকের পক্ষ থেকে শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় বলেন, যে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এই বিষয়টা জানা আমাদের জন্য অনেক জরুরী ছিলো। এই কর্মশালায় আমরা যেই তথ্যগুলো পেয়েছি, তা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আমরা মনে করি সাইবার স্পেসের এই বিষয়গুলো আমাদের সকলেরই জানা উচিত।
কর্মশালায় আলোচনার বিষয়বস্তু অদূর ভবিষ্যতেই আইন ও সালিস কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কর্মশালায় সাইবার ক্রাইমে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষকে ক্রাফ কিভাবে আইনগত সহায়তা দেয় এসব বিষয়ে কথা বলেন সঙ্গগঠনটির আইনজীবী মাহফুজ কবির। এছাড়াও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বক্তব্য রাখেন সিয়াম বিন শওকত।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্রাফের সভাপতি জেনিফার আলম, ক্রাফের ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স স্পেশালিস্ট রহমান আজাদ, আসকের শিশু অধিকার ইউনিটের টিম লিডার মোহাম্মদ মোকসেদ মাহমুদ ছাড়াও আসকের সবগুলো ইউনিটের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।