১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদল শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারেই হত্যা করেনি, ওরা হত্যা করেছিল পুরো বাঙ্গালি জাতিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণাকে। তাই এই দিনটি সারাবিশ্বের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।” আজ বিকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্থ করার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি প্রদান করে এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস চর্চা থেকে বঞ্চিত করেছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সমার্থক বলেই আজ নতুন প্রজন্ম সত্য জানছে। সত্যকে ঢেকে রাখা যায়না। কারণ, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। প্রতিমন্ত্রী এ সময় সবাইকে দেশ গড়ার কাজে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়ে গেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু তারই কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সেই অর্থনৈতিক মুক্তি দানের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ৭১ সাল, এই দীর্ঘ ২৩ বছর সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর কারান্তরীণ ছিলেন। ফলে মাত্র ১০ বছরের মধ্যে তিনি পুরো জাতিকে সংঘবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং দেশবাসী তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে সার্টিফাইং অথরিটির নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সারফ্ উদ্দীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, হাইটেক পার্কের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুশান্ত কুমার সাহা, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।