দেশে শুরু হলো বাংলাদেশে উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ(ওয়াইফাই) কার্যক্রম । টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনমিক এন্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিক(ইউএন এসকাপ) এর তথ্যপ্রযুক্তি উইন্ডো ইউএন এশিয়ান এন্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট(ইউএন এপিসিআইটি) এর সাথে সরকারের আইসিটি ডিভিশন এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ উপলক্ষে আজ ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আয়োজন করা হয় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। ওয়াইফাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও ইউএন-এপিসিআইসিটির পরিচালক ড. হুয়েন-সুক রি।
ড.শিরীণ শারমিন চৌধুরি বলেন, বালাদেশের নারীদের দেশের অথর্নীতিতে অবদানের একটি সাকসেস স্টোরি রয়েছে। ওয়াইফাই পদক্ষেপ নারীদের সহায়তায় ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ হাতিয়ার।পাশাপাশি বলা যায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার এক অনন্য উদ্দ্যেগ। তিনি তার বক্তব্যে ই-কমার্স এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ের কথাও উল্লেখ করেন এবং ওয়াইফাই এর সাফল্য কামনা করে দেশে এর উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
বাংলাদেশের নারীরা আজ আর পিছিযে নেই। তাদের দাপুটে বিচরণ দেশের সবাঙ্গনেই। গোটা বিশ্ব আজ এ দেশের নারীদের উন্নয়নে অভিভুত বলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মেহের আফরোজ চুমকি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাতে নারী পুরুষের সমান অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আর উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ(ওয়াইফাই) নারী পুরুষের সমতা রক্ষায় গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালক করবে বলেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি আরোও বলেন, লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গর্ভানেন্স, সার্পোট টু কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভলপমেন্ট প্রকল্পসহ নানাবিধ প্রকল্পে ত্রিশ ভাগ নারীকে প্রশিক্ষন প্রদানের বাধ্যবাধকতা রাখা হয় এবং সম্প্রতি শুধু মাত্র মহিলাদের জন্য শি পাওয়ার নামে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয় ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান, মেন্টরিংসহ নানা ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমে ইউএন-এপিসিআিইসিটি কৌশলগত সহযোগিতা প্রদান করবে আর এর অর্থের যোগান দিবে বাংলাদেশ সরকার। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সবীর কিশোর চৌধুরি, মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক ও অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা।