সুবিধা বঞ্চিত নারীদের ক্ষমতায়নে ভুমিকা রাখায় ফিন্যান্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড বিভাগে দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শক্তি ফাউন্ডেশনকে মাইক্রোসফট ইয়ুথ স্পার্ক গ্র্যান্ট দিলো মাইক্রোসফট ফিলান থ্রপিস। মাইক্রোফিন্যান্স, স্বাস্থ্য ও কৃষি কাজে সহায়তার মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নে কাজ ফাউন্ডেশনটি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ মিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৫২০০টি ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করে এমন সব নারীদের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ সকল নারীরা যেনো পরবর্তীতে প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে এ টু আই ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শক্তি ফাউন্ডেশন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আরো বেশি সংখ্যক নারীর সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনকে সহায়তা করবে মাইক্রোসফটের ইয়ুথ স্পার্ক গ্র্যান্টটি। এতে করে নারীরা কম্পিউটার মেরামত ওপ্রযুক্তিগত সেবামূলক ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা তৈরির এ প্রোগ্রামে নারীদের কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ব্যবহার, মেরামত ও সমস্যা সমাধানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের শক্তি ফাউন্ডেশনের মাইক্রোফিন্যান্স প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত করা হয় এবংতাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ নিশ্চিৎ করে যাতে তারা ছোট আইটি রিপেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আওতাধীন দেশের ৫২০০টি ডিজিটাল সেন্টার গুলোকে আইটি রিপেয়ার সেন্টারে পরিণত করতেই শক্তি ফাউন্ডেশন এর এমন অভিনব পদক্ষেপ।
শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ডা. হুমায়রা ইসলাম বলেন, “প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে মূলত তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীনতা এনে দেয়ার বিষয়টি একটি সার্বিক পদক্ষেপ।এখন পর্যন্ত ৩৩০০জন নারীকে প্রযুুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ এবং এ সকল নারীর মধ্য থেকে প্রথম ৫০জন নারীকে শক্তি ফাউন্ডেশন এমনভাবে প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করেতুলেছে যে তারা চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ডিজিটাল সেন্টার গুলোতে নিজেদের আইটি রিপেয়ার ব্যবসা চালু করতে পারবেন।”
‘উইমেন এন্টারপ্রিনিউরস ইন টেকনোলজি ফর ডিজিটাল সেন্টারস (উইন্ডোজ উইমেন)’শীর্ষক পদক্ষেপের আওতায় একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে গত বছরের জানুয়ারি মাসে চুক্তি স্বাক্ষর করে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ টু আই। উক্ত প্রোগ্রামটি নারীদের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিষয়ক ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করানো এবং সরকারি ভাবে পরিচালিত ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সঙ্গে কার্যকর যোগ সূত্র তৈরিতে কাজকরছে। এতে করে এ সকল প্রশিক্ষিত নারীরা নিজ নিজ অঞ্চলে আইটি সেবা দিতেপারবেন। দেশের সবকটি ইউনিয়ন, জেলা এবংশহরেরওয়ার্ডগুলোতে অবস্থিত সেন্টারগুলো থেকে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিপ্রাপ্তি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের সহায়তা প্রদানকরা হয়।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরবলেন, “পরিবারের উন্নতি ও দেশীয় অর্থনীতিতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।দেশের সুবিধা বঞ্চিত নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরাধীনতার জাল থেকে বের করেআনতে শক্তি ফাউন্ডেশনের মতো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করতে ইইয়ুথ স্পার্ক গ্র্যান্ট দিয়েছে মাইক্রোসফট।প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে নারীদের প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ করে তোলা ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমি দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।এছাড়া দেশের এম এফ আই নারীদের মাঝে নতুন প্রযুক্তি পরিচয় করানোর ব্যাপারে আমরা উচ্ছসিত। আগামি ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশের ৫২০০টি ডিজিটাল সেন্টারে ৫২০০জন নারী তাদের নিজস্ব আইটি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে, এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।”