আমাদের সমাজে ব্যক্তিগত, স্বাস্থ্যগত অথবা মানসিক সমস্যার সমাধানে নির্ভরযোগ্য পরামর্শ পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে প্রায়শ তরুন সমাজ পৌছে যায় চরম অবনতিতে। কারন হিসেবে বলা যায় বিশেষজ্ঞ, বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ না পাওয়ায় তারা অসহায় বোধ করেন। এমনকি গর্ভাবস্থার শেষ সময়ে গভবর্তী মা দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হন। তাই এসব সমম্যার সমাধান কল্পে টেলিকম অপারেটর রবি ও মায়ার যৌথ উদ্দ্যেগে এবং রবির সৈাজন্যে চালূ হয়েছে মায়া আপা প্লাস। আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট পার্কে সেবাটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । আরো উপস্থিত ছিলেন মায়া আপার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আইভি হক রাসেল এবং রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার মতিউল ইসলাম নওশাদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ পূরণে দেশে প্রগতিশীল সমাজ ও স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে মায়া আপা অ্যাপসটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, নারীদের উদ্যেগে ‘মায়া আপা’র মত প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্য সেবা চালু হয়েছে যা দেশের মঙ্গলের উদ্দেশে তৈরি এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। রবির সাথে তাদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই সেবাটি দেশে ও দেশের বাইরে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সরকারও মায়া আপা সেবাটি’র পাশে দাঁড়িয়েছে এবং শিগগিরই আমরা এই বিষয়ে কিছু ভাল সংবাদ পাব। তিনি আরো বলেন, মায়া আপা অ্যাপ্লিকেশনটি আমরা গত বছর নির্বাচন করেছি। আমাদের ১০০০ হাজার উদ্ভাবনী প্রোডাক্টের মধ্যে এটি অন্যতম। মায়া আপা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আইভি হক রাসেল বলেন, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রবি ও মায়া দেশের প্রত্যেকের হাতে ডিজিটাল স্বাস্থ্য পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি যৌথ পদক্ষেপ এবং এই পথচলায় রবিকে সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত।
দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক বা মাসিক প্যাকেজে সাবস্ক্রাইব করে এই সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন রবি গ্রাহকরা। অনন্য এই সেবাটি এসএমএস ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গ্রহণ করা যাবে। মায়া আপা প্লাস সেবা সাবস্ক্রাইব করে রবি গ্রাহকরা প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা মায়া বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যে কোনো প্রশ্নের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ১০ মিনিটের মধ্যেই নিতে পারবেন। এখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তর আপডেট করা, ফটো এটাচমেন্ট ও ভয়েস জিজ্ঞাসাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচারসহ মায়া অ্যাপটি সাজানো হয়েছে। মায়া আপা প্লাস- সেবাটি পে-পার ইউজের ভিত্তিতে এখন এসএমএসও পাওয়া যাবে। এর ফলে রবি গ্রাহকরা এসএমএস’র মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি বা ইংরেজি ফন্টে বাংলা ভাষায় তাদের শারিরীক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা বা প্রশ্ন করতে করতে পারবেন। এছাড়া সেবাটির গ্রাহক হয়ে বিষেশজ্ঞদের পরামর্শও গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা। সেবা পেতে গ্রাহকদের গোপনীয়তা বজায় থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মায়া আপা। এখন সারা দেশ থেকে আসা দৈনিক প্রায় ৫০০ প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় এই সেবার মাধ্যমে। ২০১৪ সাল থেকে মায়া আপা ব্র্যাক’র সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ইনোভেশন ফান্ড আওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করে।