দেশে সরকারি সহায়তায় নিজেদের অ্যাপ স্টোর তৈরির কথা বলেছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। এজন্য দেশীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে যারা কাজ করছেন তাদের সহযোগিতাও দরকার। যেভাবে দেশে মোবাইল অ্যাপস ও গেইম তৈরি হচ্ছে তাতে এর বিকল্প কোনো চিন্তা করার উপায় নেই। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো ২০১৭ আয়োজনের প্রথম দিনে ‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট : হোয়াট নেক্সট’ সেমিনারে এসব কথা বলেন।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, দেশে মোবাইল অ্যাপস ও গেইমস উন্নয়নে সম্প্রতি ২৮২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চালু করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। দেশেই আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল গেইমস তৈরির জন্য বেশকিছু ডেভেলপার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ গেইমের বিশ্ববাজার এখন শত বিলিয়ন ডলারের। সেই বাজারে প্রবেশ করতে দেশে গেইম ডেভেলপার তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য যারা এই প্রশিক্ষণ নেবে এবং গেইম ও অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট কাজ করবে তাদের পরে উদ্যোক্তা হতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। দেশে এমন বড় একটি প্রকল্পে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করা হবে।
সেমিনারে বেসিস জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ গেইম ও অ্যাপস তৈরির পর তার বিপণনে জোর দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা একটি গেইম তৈরি করে আমাদের কাজ শেষ হয়েছে বলে মনে করি। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। আমাদের উচিত একটি গেইমের ৪০ শতাংশ গেম ডেভেলপমেন্ট আর ৬০ শতাংশ মাকেটিং বিষয়ক খরচ করা উচিত। আর পেমেন্ট সিস্টেম ভালো হলে আমাদের দেশে অ্যাপ জনপ্রিয়তা পাবে। সেলিম খান বলেন, সরকার ক্ষেত্র তৈরি করে দিবে। কিন্তু এইটাকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা এখনো দেশে ভালোমানের গেইম বা অ্যাপ পাইনি। আশাকরি সরকারের নতুন বাজেটের ফলে বিশ্বমানের অ্যাপ ও গেইম তৈরি হবে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। আলোচক হিসেবে ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব আবদুল আওয়াল হাওলাদার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক সেলিম খান, এরিনা ফোন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি, বাক্যর সাধারন সম্পাদক তৌহিদ হোসেন ও স্টার কম্পিউটার সিস্টেমের ডিরেক্টর রেজওয়ানা খান প্রমুখ।
মেলা চলবে ৪ ফ্রেবুুয়ারী পর্যন্ত।