ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ১৩ কোটির অধিক মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ব্যবহারকারী তাদের মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তৈরি করা বিভিন্ন অ্যাপস ভ‚মিকা রাখছে। অন্যদিকে বিনোদনের ক্ষেত্রে মোবাইল গেইম ভুমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে বিশ্ববাজারে মোবাইল গেইমের চাহিদা প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে মোবাইল গেইমের বাজার রয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। সেই বাজার ২০১৮ সালের মধ্যে ১১৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে, যেখানে ৪৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার আসবে শুধু মোবাইল গেইম থেকে। সেই বড় বাজারে বাংলাদেশকে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ মোবাইল গেইম আইডিয়া উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
দেশের যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তুলে মোবাইল গেইমিং এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও দৃঢ় করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ “জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেইম উন্নয়ন কর্মসূচি” গ্রহণ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১০ হাজার ডেভেলপার তৈরি সহ নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এজন্য পূর্ণাঙ্গ অ্যাপস ডেভেলপার হিসেবে আট হাজার সাত শত পঞ্চাশ (৮,৭৫০) জনকে এবং গেইমিং অ্যানিমেটর হিসেবে দুই হাজার আটশত (২,৮০০) জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০টি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। আর তারই অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মোবাইল গেইম আইডিয়া উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেইম উন্নয়ন কর্মসূচির কর্মসূচি পরিচালক নবির উদ্দিন, অ্যাপনোমেট্রি লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ হোসেন এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর তাঁর আইসিটি উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রার ডিজিটাল এগিয়ে যাচ্ছে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই। তাই সরকারের এই উদ্যোগে আমরা যুক্ত হয়েছি। আজকের এই কর্মশালায় ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বাছাইকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থী পরবর্তী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। আগামীতেও এ ধরণের কার্যক্রমে আমরা পাশে থাকবো।