চূড়ান্ত বাছাই চলছে কানেক্টিং স্টার্ট-আপস্ প্রতিযোগিতার

দেশে উদ্ভাবনীমূলক ও আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোগ তৈরির ল¶্যে এবং বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বাজারে এসব উদ্যোগকে নিয়ে যেতে আয়োজিত জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘কানেক্টিং স্টার্ট-আপস্ বাংলাদেশ’-এর চূড়ান্ত বাছাই পর্ব চলছে। সম্প্রতি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচিতদের নিয়ে ‘ডেমো ডে’ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে প্রতিযোগিতার ‘গ্রোথ স্টেজ’ ক্যাটাগরিতে আবেদনকৃত ১২৩টি উদ্যোগের মধ্যে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৯২টি উদ্যোগ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ‘ডেমো ডে’-তে অংশগ্রহণ করে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ‘আইডিয়া স্টেজ’ ক্যাটাগরিতে ১৬২টি উদ্যোগের দ্বিতীয় ‘ডেমো ডে’ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপের জন্য উদ্যোগগুলো নির্বাচিত করা হবে।

আয়োজক প্রতিনিধি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত বিচারক কমিটি উদ্যোগগুলো নিরীক্ষা করেন এবং সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দেন। এছাড়া তারা অংশগ্রহণ করা উদ্যোগগুলো থেকে পরবর্তী ধাপে যাওয়া উদ্যোগসমূহ নির্বাচিত করেন। শিগগিরই পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত উদ্যোগগুলোর নাম প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত ১৮ অক্টোবর জনতা সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়। এই পার্কে যাতে আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোগ গড়ে উঠে, বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি উদ্যোগ বাংলাদেশে তৈরি হয় এবং সর্বোপরি তথ্যপ্রযুক্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরাণিত করা যায়, সে জন্যই আইসিটি ডিভিশন জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধায়নে কানেক্টিং স্টার্ট-আপের আয়োজন করে। এতে ৪৩৫টি আবেদন পড়েছে, যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। ২০২১ সাল নাগাদ আমরা দেশে ১ হাজার উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরিতে কাজ করছি। যেগুলো নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের বড় অবস্থান নেওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা প্রত্যাশা করি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তেমনই কিছু উদ্ভাবনী প্রকল্প বেরিয়ে আসবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবিটর সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্ধ পাবে। নির্বাচিত আরও অর্ধশত উদ্যোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ডিজিটাল ইনকিবিউটরের বিভিন্ন সুবিধাসহ তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য জায়গা বরাদ্ধ নিতে পারবে। এছাড়া উচ্চগতির ইন্টারনেট, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বড় কনফারেন্স রুম ব্যবহারের সুবিধাসহ তাদের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগটি যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ‚মিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্টার্ট আপগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ক¤িপউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বেসিস যৌথভাবে কানেক্টিং স্টার্ট-আপস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে ইনকিউবেশন ও টেলিকম পার্টনার হিসেবে বাংলালিংক এবং অন্যান্য সহযোগী হিসেবে রয়েছে ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, গ্যাপ এবং কিজকি।

Share This:

*

*