দেশের নারীদের প্রযুক্তি ব্যবসায় আগ্রহী করে তুলতে উইমেন ইন ডিজিটাল এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল ইনোভেশন ফর উইমেন ২০১৬ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি সেলিমা আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিআইবিএমের এসএমই ফ্যাকাল্টি কনসালট্যান্ট সুকোমল সিনহা চৌধুরী এবং বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর। সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. রিজওয়ান খান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানিতে বিশ্বে সম্মানজনক অবস্থানে আসবে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়। বর্তমান সরকার সবক্ষেত্রেই নারীদের সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ এখন অনলাইনে হচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আমরা নারীদের খুঁজছি। তাই নারীদেরকে সমাজের পিছুটান ছেড়ে সবক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি শামীম আহসান বলেন, আইসিটি খাতে নারী পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই, নারীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভালো নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। আমাদের সদস্য কো¤পানিগুলোতে মাত্র ৯ শতাংশ নারী কাজ করে। আর উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ নারী। তবে এটা যথেষ্ঠ নয়! আইসিটি ডিভিশনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে অনেকদিন ধরেই কাজ করে আসছে বেসিস। এই লক্ষ্যে বেসিস উইমেন্স ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২ বছরে আমরা যে ২৩ হাজার দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি সেখানেও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশের অগ্রযাত্রায় নারীদেরও সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল ইনোভেশন ফর উইমেন শীর্ষক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে ৪৯টি প্রকল্প নিয়ে সারাদেশের ২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ তিন উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে শীর্ষস্থান অধিকার করে ‘ফুড হান্ট’ শীর্ষক প্রকল্প। এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় যথাক্রমে ‘এ আর কিডস’ ও ‘ব্রেক ফ্রি’ প্রকল্প। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকগুলো প্রযুক্তিবান্ধব নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।