শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬

‘মিট ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রত্যয়ে  ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবতায় স্থানীয় সক্ষমতা বাড়িয়ে প্রযুক্তি উৎপাদক দেশ হতে আগামী ৩ মার্চ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬। এ উপলক্ষে আজ  মঙ্গলবার মেলার ভ্যেনু বিআইসিসি’র মিডিয়া বাজারে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মলেনরে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিতে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, প্লাটিনাম স্পন্সর ডেল বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির ও মেলার আহবায়ক নজরুল ইসলাম মিলন।   আরো উপস্থতি ছলিনে  প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান ।

সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দ্বিতীয় বারের মতো আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী প্রযুক্তির এই প্রাণের মেলায় থাকছে প্রযুক্তি-জীবনধারার সামগ্রিক প্রদর্শনী।  দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতকে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬। তিনি বলেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে আগামীতে আমাদের হাতে কোনও কোরিয়ান বা চাইনিজ ব্র্যান্ড থাকবে না। থাকবে আমাদের নিজেদের তৈরি স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যেই কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে তৈরি হবে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পিসি। তনিি আরো বলনে , তরুণদের পথ দেখানোই আমাদের দায়িত্ব। এই মেলার মাধ্যমে আমরা সেই পথ দেখাবো। এবারের মেলায় আমরা দেশীয় ব্র্যান্ডকে তুলে ধরবো।

বিসিএস সভাপতি মাহফুজুল আরিফ বলেন, সফটও্যয়ার ছাড়া যেমন হার্ডওয়্যার অচল, তেমনি হার্ডওয়্যার ছাড়া সফটওয়্যারেরও কোনো মূল্য নেই। আবার এই দুইটি অনুষঙ্গ থাকার পরও যদি এর ব্যবহার অথবা এটি সচল করার কোনো কৌশল জানা না থাকে তবে সব প্রচেষ্টাই বফিলে যায়। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতেই বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত উন্নয়নের একটি সম্মিলিত প্রয়াস- বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো। আইসটিি এক্সপােতে  প্রযুক্তি বিষয়ক সভা সেমিনারের পাশাপাশি  থাকছে এই খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা, তেমনি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতের সম্বনিত উন্নয়নের জন্যও রয়েছে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ। স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে থাকছে প্রযুক্তি পণ্য সেবায় ভবিষ্যত প্রজন্মের উদ্ভাবনকে আরও বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা।
তনিি আরো বলনে  উদ্বোধনের পরই শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি লাইভ টকিং রোবোট ‘রিবো’ অভ্যর্থনা জানাবে দর্শনার্থীদের। মাথার ওপর চক্কর দেবে বুয়েট শিক্ষার্থীদের তৈরি ফ্লাইং ড্রোন।

সম্মেলনে আরো জানানো হয় , হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতের সম্মিলিত প্রয়াসে আন্তর্জাতিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ‘ইন্টারনেট অব থিংকস’ নিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মেলায় হার্ডওয়ার ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অমিয় সম্ভাবনা, কর্মপ্রচেষ্টা ও রূপকল্পের নান্দনিক উপস্থাপনা তুলে ধরা হবে।  মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।  মলো সবার জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদশে আইসটিি এক্সপো আয়োজনে অংশীদার হসিবেে রয়ছেে

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর ও সিসিএ এ আয়োজনে সহযোগী। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও)।

এক্সপোর প্লাটিনাম স্পন্সর ডেল ও মাইক্রোসফট। গোল্ড স্পন্সর এইচপি ইনক., এইচপি এন্টারপ্রাইজ ও মাইক্রোল্যাব। সিলভার স্পন্সর কণা সফটওয়্যার ল্যাব, নিউম্যান, সিম্ফনি ও ওয়ালটন। আইটি স্পন্সর উই।  গেমিং স্পন্সর আসুস ও গিগাবাইট। মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলা, রেডিও টুডে ও সমকাল। ই-কমার্স পার্টনার বাগদুম।

Share This:

*

*