আইএফএ ২০২০-এ রিয়েলমির প্রথম ব্র্যান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ব্র্যান্ড রিয়েলমি গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে আইএফএ-তে তাদের ‘২০২০ ব্র্যান্ড কনফারেন্স’ করেছে। আইএফএ-তে তাদের প্রথম উপস্থিতিতে রিয়েলমি গত ২ বছরে “ডেয়ার টু এক্সপ্যান্ড” ও ” ডেয়ার টু থ্রাইভ” মনোভাবে তাদের বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি এবং অর্জনের ওপর আলোকপাত করে। এছাড়া রিয়েলমি ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডের স্ট্র্যাটেজি ও পণ্য পরিকল্পনা শেয়ার করেছে।

এই উপলক্ষে রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্কাই লি বলেন, “একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ হিসেবে রিয়েলমি লিপ-ফরোয়ার্ড পারফরম্যান্স এবং ট্রেন্ডসেটিং ডিজাইনের উন্নতমানের পণ্য আনার ওপর জোর দিয়ে একটি স্মার্ট লাইফস্টাইল প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অন্যান্য বাজারে সফলভাবে যাত্রার পর রিয়েলমি এখন ইউরোপীয় এবং চীনা বাজারের ওপর মনোযোগ দিবে এবং ল্যাটিন আমেরিকায় তরুণদের অত্যাধুনিক সব টেক সুবিধা দিয়ে সেখানের বাজারেও প্রবেশ করবে।”

তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে রিয়েলমি বরাবরই শক্তিশালী কর্মক্ষমতা এবং ট্রেন্ডসেটিং ডিজাইনের উচ্চ মানের স্মার্টফোন ও এআইওটি পণ্য নির্মাণের উপর জোর দেয়। ‘স্মার্টফোন + এআইওটি’ স্ট্র্যাটেজির সাথে রিয়েলমি প্রতিটি প্রাইস সেগমেন্ট – এন্ট্রি লেভেল থেকে ফ্ল্যাগশিপ পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও সাজিয়েছে। ব্র্যান্ডটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে এবং তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই ১০০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৬ শতাংশ বাজার দখল করে নেয়।

ফোর জি পণ্যের ক্ষেত্রে রিয়েলমি উন্নত প্রযুক্তি জনপ্রিয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিয়েলমি প্রথম ২০০ ডলার দামের স্মার্টফোনে পপ-আপ ক্যামেরা নিয়ে আসে। তাছাড়া এ দামে বিশ্বের প্রথম ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরাও আনে রিয়েলমি। মিড-লেভেলের স্মার্টফোনের মধ্যে ‘রিয়েলমি সেভেন’ সিরিজে প্রথম ৬৫ ওয়াটের সুপারডার্ট চার্জ আনা হয়। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট সিরিজ – সি সিরিজ, নম্বর সিরিজ এবং নারজো সিরিজের মাধ্যমে নানান ধরনের ফোর জি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নানাবিধ চাহিদা পূরণ করতে পারে।

২০২০ এর শুরু থেকে বেশ কিছু শক্তিশালী ফাইভ জি স্মার্টফোন লঞ্চ করে রিয়েলমি নিজেদের “ফাইভ জি’র পপুলারাইজার” হিসেবে জনপ্রিয় করে তোলে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে রিয়েলমি তাদের ফাইভ জি পণ্য পরিকল্পনা আরো উন্নত করবে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। রিয়েলমি ভি সিরিজ এবং এক্স সিরিজের মাধ্যমে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে ফাইভ জি সুবিধা পৌঁছে দিবে রিয়েলমি।

স্মার্টফোন ছাড়াও, তরুণদের জন্য অনন্য সব এআইওটি পণ্য আনছে রিয়েলমি এবং ট্রেন্ডসেটিং স্মার্ট লাইফস্টাইল উপহার দিতে “১ + ৪ + এন” প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি হাতে নিয়েছে। একটি মূল পণ্যের (স্মার্টফোন) সাথে ৪টি স্মার্ট হাবের (স্মার্ট টিভি, স্মার্ট স্পিকার, স্মার্ট ঘড়ি এবং স্মার্ট ইয়ারফোন) ‘এন’ সংখ্যক এআইওটি পণ্য আনবে রিয়েলমি। ২০২০ এ ৫০টিরও বেশি এবং ২০২১ এ ১০০টি আইওটি পণ্য পণ্য নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি।

রিয়েলমি সবার প্রত্যাশার থেকেও ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে নিবেদিত। বাজারে যারা প্রথম ১২৫ ওয়াটের চার্জিং প্রযুক্তি ও ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা এনেছে – রিয়েলমি তাদের মধ্যে অন্যতম। বেশ কিছু বাজারের ফাইভ জি-তে সেরার তালিকায় আছে রিয়েলমি এবং ব্র্যান্ডটিই প্রথম স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫-এর ফাইভ জি ফ্ল্যাগশিপ লঞ্চ করে। এছাড়া, রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিও বিশ্বের প্রথম সারির ডিজাইনার ও ট্রেন্ডসেটিং শিল্পী, যেমন নাওতো ফুকাসাওয়া এবং জোসে লেভি-কে সাথে নিয়ে প্রযুক্তি শিল্পে ট্রেন্ডসেটিং সব ডিজাইন নিয়ে আসে।

রিয়েলমি মাত্র ২ বছরে প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী ৬১টি বাজারে সাড়ে ৪ কোটি ব্যবহারকারী অর্জন করে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ৪, সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫, ভারতের শীর্ষ ৪ এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় শীর্ষ ৪-এ অবস্থান করছে। ক্রমাগত সাফল্যে পরপর চার প্রান্তিকে রিয়েলমি বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে এবং বৈশ্বিক র‍্যাংকিং এ সপ্তম স্থানে অবস্থান করে নিয়েছে।

প্রযুক্তিশিল্পের সব সীমানা ছাড়িয়ে ভবিষ্যতে নিজেদেরকে অতিক্রম করতে বদ্ধপরিকর রিয়েলমি। কোম্পানিটি প্রিমিয়াম সব পণ্যের মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশার থেকেও বেশি কিছু নিয়ে আসতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে রিয়েলমি প্রতি বছর ১০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা করেছে।

Share This:

*

*