ট্রান্সফমিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন স্লোগান নিয়ে আগামী ৬-৯ ফেব্রæয়ারি চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক জনপ্রিয় প্রদর্শনী ১৬তম বেসিস সফটএক্সপো ২০২০।
এ উপলক্ষ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড-ডিবিবিএল-এর প্রধান কার্যালয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) এবং বেসিস সফটএক্সপো ২০২০ এর আহŸায়ক মুশফিকুর রহমান।
ডিবিবিএল-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরিন, চিফ অপারেটিং অফিসার-সিওও মো এহতেশামুল হক খান এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর মমিনুল হক।
সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিবিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরা। পাশাপাশি এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের অংশগ্রহণ থাকছে। এবারের বড় পরিসরে আয়োজিত বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এ প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে থাকছি আমরা।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২০ প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর স¤প্রসারণে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিনশোর’ও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। দেশের সফটওয়্যারের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষমতা প্রদর্শন ও আস্থা তৈরিই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২০ এর আহŸায়ক মুশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমাদের এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবো। এবারের আসরে আমরা সারাদেশ থেকেই প্রচুর সাড়া পেয়েছি। প্রদর্শক হিসেবে অনেকেই এখনো আসতে চাচ্ছেন ,এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে বক্তারাও আসবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি স্টলেই থাকবেন সিভি জমা দেয়ার সুবিধা। আমরা সবাইকে নিয়েই বড় পরিসরে সমগ্র আয়োজনটি করবো।
বেসিস আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তির বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে এবার তিনশোর’ও বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের সুযোগ থাকছে।