অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ডিজিটাল শিক্ষা সৈনিকরা যেভাবে কাজ করছে তাতে বাংলাদেশে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ২০৪০ সালের বদলে ২০২০ সালেই হয়ে যাবে। দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরও একই সময়ে হবে বলে মাননীয় মন্ত্রী আশা করেন। গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বেসিস সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপরেখা প্রণয়নে বেসিস সভাপতির অবদানের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নওগাঁ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলম বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা ও গ্রামকে ডিজিটাল করতে হবে। তিনি শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিজয় ডিজিটালের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে একে সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শিক্ষা সচিব জনাব সোহরাব হোসেন বলেন, সরকার শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টাকে সকল প্রকারের সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিজয়-নেটিজেনের ডিজিটাল শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমকে প্রশংসা করেন।
বেসিস সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার বদলে যাওয়া প্রেক্ষিতকে বিবেচনা করে যদি আমরা এখনই জ্ঞানকর্মী গড়ে তুলতে না পারি তবে ডিজিটাল যুগে আমাদের অস্তিত্ত্ব বিপন্ন হবে। তিনি প্রাথমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি শিশুদেরকে প্রোগ্রামিংয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে বেসিস স্কুল শিক্ষকদেরকে প্রোগ্রামিংয়ের জন্য যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং শিশুদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার যে আয়োজন করছে তার উল্লেখ করেন।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে” এই স্লোগানের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে আগত বিজয়-নেটিজেনের সহস্্রাধিক শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত সম্মেলনটির মূল আয়োজক ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও বেসিস সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার। সেমিনারে বিজয় শিশুশিক্ষার উপর প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুঁই, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নেটিজেন আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান নোবেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও আলোচনা করেন নওগাঁ ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকগণ।