১৫ ও ১৬ এপ্রিল বিপিও সামিট ২০১৮

আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সামিট ২০১৮’। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর (DoICT) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) যৌথ উদ্যোগে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজন। সামিটকে সফল করার জন্য সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম।

সম্প্রতি অ্যাক্টিভেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, টঙ্গী সরকারি কলেজ, প্রেসিডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি এবং আইবিএআইএস ইউনিভার্সিটিসহ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম। দুই দিনের মূল আয়োজনের আগে মোট ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিবেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

অ্যাকিভেশন কার্যক্রমে স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনেক্স ইনফয়েসস লিমিটেডের ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. মোস্তফা জামান, ইমপেল সার্ভিস অ্যান্ড সলিউশনের রুতাব করিম, রঞ্জন দত্তসহ বিপিও খাতে বিশেষঙ্গরা অংশগ্রহন করেন। প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশনে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা অ্যাক্টিভেশনের স্পীকারদের কাছে বিপিওর বিষয় বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। পড়াশোনার অবস্থায় কিভাবে বিপিও সেক্টরে কাজ যায় সে বিষয় জানতে চায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্পীকাররা শিক্ষার্থীদের বিপিও কাজের ক্ষেত্র এবং বিপিও খাতে ভবিষ্যতের কাজ সম্পর্কে ধারনা দেয়। এছাড়া সেমিনারে শিক্ষার্থীদের বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮ ও বিপিওয়ের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে ধারনা দেওয়া হয়।

অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রমের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ডিভাইন আইটি, উই মোবাইল, গুগল ক্লাউড, বাংলার অর্জন, আজস টেলিমক অগমেডিক্স এবং স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি)।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব-দরবারে ইতিমধ্যে পরিচিয় পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোসিং খাতকে আরও কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে। এবং সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত দুই বারের সফল আয়োজনের এবার আরও বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।

এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয় স্পীকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পীকার অংশগ্রহন করবে। এবারের বিপিও সামিটে ১০টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)  ইত্যাদি।

Share This:

*

*