৬টি বিশ্বদ্যিালয়ের ৯জন শিক্ষার্থী ও ৩জন বিশিষ্ট নাগরিকসহ মোট ১২ জনকে রুটস জার্নালিস্ট হিসেবে সম্মাননা ফেলোশিপ প্রদান করেছে রুটস বাংলা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেয়ার বাংলাদেশ। গত বুধবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও কেয়ার বাংলাদেশের মুরাদ বিন আজিজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রুটস বাংলার প্রধান নির্বাহী জাকিয়া আক্তার, জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক দেবদুলালমুন্না, কেয়ার বাংলাদেশের আরশাদ সিদ্দীকী ও যমুনা টিভির সিনিয়র নিউজরুম এডিটর মুরশিদুজ্জামান হিমু। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রুটস বাংলার নাগরিক সাংবাদিকতার এই উদ্দ্যেগ ’দেশ গড়ি’ দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ গড়তে ও নতুন ধারার সাংবাদিকতার মাধ্যমে তৃণমূলের সংবাদ তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকবৃন্দ বর্তমান সময়ের স্মার্টফোন ও সামাজিক গনযোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে একপ্রকার নাগরিক সাংবাদিকতা করে চলেছেন। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব যখন নাগরিক সাংবাদিকতার বিশ্বাষযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে, সেই সময়ে সুনিদৃষ্ট নীতিমালা, সাংবাদিকতার প্রশিক্ষন দিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতার নতুন ধারা নিয়ে কাজ করছে রুটস বাংলা । রুটস জার্নালিজম নামের এই ধারার নাগরিক সাংবাদিকদের জন্য তৈরী করা হয়েছে একটি প্লাটফর্ম, দেশগড়ি বা www.deshgori.net । এই প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য রুটসবাংলা নাগরিকদের জন্য আগামীতে আরও নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যার মাধ্যমে সাধারণ জনগনের সাংবাদিকতার সুযোগ উন্মুক্ত হবে। এ লক্ষে রুটস জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক সারাদেশে বিস্তৃতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে রুটস বাংলা তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিজ এলাকা, কর্মক্ষেত্র এবং দেশের উন্নয়নের বিষয়ে সচতন ভূমিকা রাখার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬৫ জন জন শিক্ষার্থীকে ‘দেশগড়ি’ কর্মসূচীর আওতায় প্রশিক্ষন দিয়েছে। এর মধ্য থেকে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের জন্য ৭৫ জন কে উচ্চতর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণকারীর মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জনকে এই “রুটসজার্নালিস্ট ফেলোশিপ” দেয়া হলো। এই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রতি তিন মাসের জন্য ১০ জন করে মোট ৩০ জনকে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। এ লক্ষে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ও কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে।
উল্লেখ্য, ফেলোরা প্রতি সপ্তাহে দেশে ও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য সমাধানের উপায় ও সমাধানের জন্য উদ্যোগ বা পদক্ষেপ বিষয়ে মাসে ৬টি বিষয় ভিত্তিক প্রতিবেদন ও মাসে ২টি করে সাক্ষাৎকার পাঠাবেন। তিন মাসের জন্য ফেলোশিপ চলাকালে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ও প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য দেশগড়ি টিমের সাথে এবং স্থানীয় জনগণ ও জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করবেন। ফেলোশিপ এর সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ফেলোরা তাদের নিজস্ব এলাকায় ‘দেশগড়ি’ কমসূচীর আওতায় ফোরাম গঠনের মাধ্যমে অন্য নাগরিকদের এলাকা ও দেশের সমস্যার বিষয়ে সচেতন হতে এবং সমাধানে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবেন। এবং সবার অংশগ্রহণে উন্নয়নকেন্দ্রিয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব গড়ে তুলবেন। এটিই এই কর্মসূচীর এটিই প্রধান লক্ষ্য।