প্যাটেন্ট সংক্রান্ত লাইসেন্স ঝামেলা মেটাতে অবশেষে সমঝোতায় এসেছে চাইনিজ টেলিকমিউনিকেশনস জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গত ২০১৫ সালের প্যাটেন্ট লাইসেন্সিং নিয়ে লাইসেন্সিং প্যাটেন্ট সংক্রান্ত সূত্র ধরে হুয়াওয়েকে শত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দিতে হবে অ্যাপলকে আর এমন তথ্যই জানিয়েছে চীনের স্টেট ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অফিস।
গুয়াংজং ইন্টেলেক্টকচুয়াল প্রোপার্টি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, গত ২০১৫ সালে হুয়াওয়ে অ্যাপলকে ৭৬৯টি প্যাটেন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পক্ষান্তরে অ্যাপল হুয়াওয়েকে ৯৮টি প্যাটেন্ট অনুমোদন দেয়।
যদিও, দুটি প্রতিষ্ঠানে মধ্যে গোপনীয়তা চুক্তি অনুযায়ী এ ব্যাপারে হুয়াওয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি এবং লাইসেন্সিং ফি কত সে ব্যাপারেও কোন তথ্য জানায়নি হুয়াওয়ে।
জিএসএম, ইউএমটিএস, এলটিই এবং অন্যান্য ওয়্যাললেস বা তারহীণ কমিউনিকেশন প্রযুক্তি নিয়ে গত বছর দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
অ্যাপল ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হুয়াওয়ে প্যাটেন্ট সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুইডেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এরিকসন এবি-এর সঙ্গে হুয়াওয়ে বেশ কয়েকটি গ্লোবাল চুক্তি স্বাক্ষর করে যার ফলে দুটি প্রতিষ্ঠান একে অপরের বিভিন্ন প্যাটেন্ট এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে।
নিজেদের দক্ষ ডিজাইনার থাকা সত্যেও অ্যাপল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্যাটেন্ট ফি প্রদান করে।
গত বছর গবেষণা ও উন্নয়নে হুয়াওয়ে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে বিশ্ব বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠান অ্যাপল একই খাতে বিনিয়োগ করেছে ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি তাদের মোট রাজস্ব থেকে ৩.৫ শতাংশ খরচ করেছে গবেষণা ও উন্নয়নে। অন্যদিকে এ একই বিভাগে হুয়াওয়ে খরচ করেছে ১৫ শতাংশ।
বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশনস ইকুয়েপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে গত বছর চীনে ৫২,৫৫০টি এবং সারাবিশ্বে ৩০,৬১৩টি প্যাটেন্ট আবেদন জমা দেয়।
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের দেয়া তথ্য মতে, গত ২০১৫ সালে হুয়াওয়ে প্যাটেন্ট আবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান প্যাটেন্ট অর্গানাইজেশনের তথ্য মতে, ইউরোপে প্যাটেন্ট আবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় হুয়াওয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।