হুয়াওয়ের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হলো এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলন ২০১৬

৬ জুন ব্যাংককে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও থাইল্যান্ড ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস কমিশন (এনবিটিসি) যৌথভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক এলটিই সম্মেলন ২০১৬ আয়োজন করেছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে নিরাপদ, ব্রডব্যান্ড ও ডিজিটাল এশিয়া নির্মাণ’।
এশিয়ার যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় ‘ব্রডব্যান্ড এশিয়া’ যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আরও অনেক ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে এবং এর মাধ্যমে ছোট ও মাঝারিমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য বাসায় অফিস শুরু করার ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা শুরু হবে। ‘ডিজিটাল এশিয়া’ আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে এশিয়ার শিল্পখাত রূপান্তরে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে, যা ব্যক্তিগতভাবে সম্পদের খরচ কমিয়ে আনবে ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উন্নয়নের পর্যায় অনুযায়ী এলটিই বাজারকে তিনটি আলদা ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত বলা যেতে পারে হংকং-এর বাজার, যা ইতিমধ্যেই ফোর জি যুগে প্রবেশ করেছে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো দিচ্ছে ভিওএলটিই সেবা। দ্বিতীয়ত থাইল্যান্ডের বাজার, যেখানে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এলটিই-এর উন্নয়ন চলছে আর তৃতীয়ত, উল্লেখিত বাজারগুলোর তুলনায় ভারত ও উন্নয়নশীল অন্যান্য বাজারগুলোর জনসংখ্যার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা এবং নিয়মিতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকা সত্তে¡ও এমবিবি রেট- এর ক্ষেত্রে এসব বাজার এখনও বেশিদূর আগাতে পারেনি।

এ নিয়ে হুয়াওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড সান বলেন, ‘বাজারের সম্ভাবনার কারণে এলটিই নেটওয়ার্ক স্থাপনে দেশগুলো ইতিবাচকভাবে পরিকল্পনা করছে। এ অঞ্চলে যোগাযোগ শিল্পখাতের উন্নয়নের ব্যাপারে হুয়াওয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের এ অঞ্চলে ও বৈশ্বিকভাবে কাজ করার যে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে তার মাধ্যমে আমরা এখানে সফলতা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। উন্নত নেটওয়ার্ক ও সেবাদান এবং নিরাপদ ব্রডব্যান্ড ও ডিজিটাল এশিয়া গড়ে তুলতে আমরা আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের খুব কাছ থেকে সহযোগিতা করবো।’

হুয়াওয়ের গ্লোবাল ওয়্যারলেস মার্কেটিং অপারেশন্সের প্রেসিডেন্ট কিউ হেং বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের ফলে মানুষের বিনোদন ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘নিরাপদ এশিয়া, ব্রডব্যান্ড এশিয়া ও ডিজিটাল এশিয়া’ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়াসের মাধ্যমে সবার চাহিদার পূরণ সম্ভব। আমরা আশা করি, এশিয়ার প্রতিটি মানুষের জন্য ‘নিরাপদ এশিয়া’ স্বাভাবিক পরিবেশ, আগের চেয়েও নিরাপদ সমাজ এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’
স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলগুলোর জন্য কিউ হেং পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে অন্য অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের চেয়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের জন্য কম তরঙ্গ বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, মোবাইল অপারেটরা আরও বেশি তরঙ্গ বরাদ্দ পাবে। যা বেস

স্টেশন স্থাপনে সহায়তা করবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য ল্যাম্পপোস্ট ও বাস স্টপেজসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসবে।’
এ সম্মেলনে ৩শ’রও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে। এলটিই প্রযুক্তির বিবর্তন, শিল্পখাত উন্নয়ন ও ব্যবসার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য এ সম্মেলন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।

Share This:

*

*