সকলের জন্য উপযুক্ত স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘শহরব্যাপি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন (সিটি ওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন -সিডব্লিউআইএস) এর উপর জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শ ও পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আইটিএন-বুয়েট ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপি স্যানিটেশনের সকল ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে মোকাবেলার জন্যে সিডব্লিউআই-এর ধারণা এখন সর্বত্র প্রয়োগ হচ্ছে। সিডব্লিউআই সকলের জন্য পর্যাপ্ত, উপযুক্ত স্যানিটেশন এবং হাইজিন সেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করে। সঠিক প্রযুক্তি সহকারে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি উভয়ই এক্ষেত্রে একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।
উন্নত স্যানিটেশন ও হাইজেন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন মন্ত্রী। এসব কার্যক্রমে সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রশংসাও করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের কভারেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সকল পৌরসভায় ২০২৭ সালের মধ্যে সিডব্লিউআই এ নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে সরকার কর্তৃক বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়ন ও সহযোগিতায় দেশের ১০০টিরও অধিক পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। অবশিষ্ট শহরগুলোতে নানামুখী পদক্ষেপসহ উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে।
আগামী দুএক বছরের মধ্যে সকল পৌরসভা শহর প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি
শহরব্যাপি সমন্বিত স্যানিটেশন এর ধারণাকে সকলের সাথে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে এবং সিডব্লিউআই কীভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) ৬.২ অর্জনে অবদান রাখতে পারে সে লক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস.এম. গোলাম ফারুক, গেস্ট অব অনার হিসাবে ছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. রুশান রাজ শ্রেষ্ঠা।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র মহোদয়গণ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ঢাকাওয়াসা, ডিপিএইচই, এলজিইডি, মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ, সেক্টর প্রফেশন্যাল এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।