আমরা যে ডিজিটাল তারই প্রমাণ মিলছে বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তথ্যপ্রযুক্তির আন্তর্জাতিক আসর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ তে। আজ মেলার দ্বিতীয় দিন। সকাল থেকেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গন। মেলার প্রথম দিনের মুল আর্কষণ ছিলো রোবট সোফিয়া। যদিও সোফিয়া শুধু মেলার আর্কষণ নয় আকর্ষণ ছিলো গোটা বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের। যারা সৌভাগ্যেবান তারাই শুধু সোফিয়ার সাক্ষাৎ পেয়েছেন এমনটাই মনে করছেন আজ মেলা ঘুরতে আসা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী জুওয়াইরিয়া। তিনি বলেন আমি সরাসরি সাক্ষাৎ পাইনি কিন্তুু ইউটিউব আর ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সোফিয়ার কথপোকথন শুনেছি। মেলার অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন এক কথায় অসাধারন। আমি ‘স্মার্ট ফার্মিং, স্মার্ট ফিউচার’ সেমিনারে উপস্থিত ছিলাম। অনেক কিছু জেনেছি। আমি সরকারকে আন্তজার্তিক পর্যায়ের এ রকম ইভেন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত আজ মেলার দ্বিতীয় দিনে ‘স্মার্ট ফার্মিং, স্মার্ট ফিউচার’ শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের কৃষক আর কৃষির উন্নয়নে স্মার্ট ফার্মিংয়ের দিকেই ঝুঁকতে হবে। কৃষকদের প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষন। তাহলেই তারা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস ব্যবহার করে স্মার্ট ফার্মিংয়ের দিকে নিজেদের মনোনিবেশ করতে পারবেন। এতে যেমন কৃষির যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি দেশও স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে এমন বক্তব্যই উঠে আসে আজকের সেমিনারে। এতে উপস্থিত দেশীয় কৃষি উদোক্তারা কৃষির আধুনিকায়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণের উপর প্রাধান্য দেন। এবং বর্তমানের স্মার্টফান ভিত্তিক নানান কৃষি অ্যাপের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে এককথায় কৃষকের সোনালী দিন ফেরাতে সাহায্যে করবে। সেমিনার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. সিকান্দার আলী, বারির ডিজি ড. আবুল কালাম আজাদসহ দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড চলবে ৯ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে কোনো প্রবেশ ফি নেই। তবে যেতে চাইলে www.digitalworld.org.bd এই ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মেলাপ্রাঙ্গণেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।