নতুন অনেক তরুণ-তরুণী গেইম ও অ্যাপ তৈরি করতে চান। কিন্তু জানেন না কিভাবে শুরু করবেন? এমনি এক ঝাঁক তরুণ-তরুনীদের নিয়ে স্মার্ট ফোন ও ট্যাব মেলায় অনুষ্ঠিত হয় ‘মোবাইল অ্যাপ ও গেইম : সম্ভবনা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনার। সেমিনারটিতে কিনোট উপস্থাপন করেন বিশ্বমাতানো গেইম ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টসের নির্মাতা এবং রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হক। সেমিনারটি মডারেটও করেন তিনি।
সেমিনারে মাইন্ডফিশার গেইমসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জামিল রশিদ বলেন, দেশীয় খাতে গেইম বেশ কম, তাই যদি দেশীয় বাজার লক্ষ্য করে ভালো গেইম তৈরি করা যায় তাহলে অনেক বেশি সাড়া পাওয়া যাবে। নতুনদের গেইম তৈরি করতে হলে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বড় ধরনের গেইম তৈরির জন্য অনেক বিনিয়োগের প্রয়োজন। তাই গেইমগুলো কেমন সেগুলো অনেকাংশ নির্ভর করে বিনিয়োগের উপর। তবে নতুনদের বিনিয়োগ কম থাকে, সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু গেইম তৈরি করে শুরু করা উচিত। তারপর আস্তে আস্তে বড় প্রজেক্টের গেইম তৈরি করা উচিত।
নতুন কেউ যদি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে চায় তাহলে কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অডাসিটি আইটি সলিউশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সিদ্দিক আবু বাক্কার বলেন, নতুন ডেভেলপাররা যদি দেশীয় মার্কেট লক্ষ্য করে অ্যাপ তৈরি করতে চান তাহলে প্রথমে কোন একটি সমস্যার সমাধান করতে হবে। যদি অ্যাপ ব্যবহারকারীদের উপকার হয় তাহলে তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে এবং লাভবান হওয়া যাবে। নতুনরা কিভাবে স্কিল ডেভেলপ করবেন, এই সম্পর্কে আইটিআইডব্লিউ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তানভীর আদনান বলেন, গেইম খাতে কাজ করতে হলে অবশ্যই তাদের আগ্রহী হতে হবে বিষয়টি নিয়ে। গেইম নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছরের কোর্স রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নেই। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইন্টারনেট থেকে শেখা।
ইউটিউবে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে গেইম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। এরশাদুল হক বলনে, গেইম তৈরি শিখতে হলে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। এতে কোন শর্টকাট উপায় নেই। তাই যদি কেউ ধৈর্য্য করে কাজ করতে চায় তাহলে সফলতা আসবেই। এছাড়া ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ হোসেন সেমিনারে মোবাইল গেইম ডেভেলপমেন্ট ও গেইম অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।