দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতার বুটক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ নভেম্বর। রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে বসবে প্রতিযোগিতাটির এই আয়োজন। বুটক্যাম্পে ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫,০০০ হাজার ছাত্র–ছাত্রী উপস্থিত থাকবে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতিযোগীদের জন্য থাকছে ৯ টি সেশন। এসব সেশনের মধ্যে অ্যান্ডয়েড অ্যাপ লাইফ সাইকেল, গেম ডিজাইন, ইউএক্স ইউআই, অ্যাপ ব্যাকেন্ড, অ্যাপ মনিটাইজেশন ও অ্যান্ডয়েড পুশ নোটিফিকেশন উল্লেখযোগ্য। এসব সেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এতে। এছাড়াও প্রতিযোগীদের এদিন অনুপ্রেরণামূলক কথা শোনাবেন তথ্য-প্রযুক্তিতে সফল ব্যক্তিরা।
এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজিস লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, ‘অ্যাপ বিষয়ে প্রতিযোগীদের যাতে কোনো রকম দূর্বলতা না থাকে, তাই এ আয়োজন। এই ক্যাম্পে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কাছে অ্যাপ সম্পর্কিত বিষয়ে যে কোনো সমস্যার সমাধান জানার সুযোগ পাবেন প্রতিযোগীরা। বুটক্যাম্পের পর এ মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা বিচারকদের সামনে নিজেদের ধারণাপত্র উপস্থাপন করবেন। তিনি জানান, এই প্রতিযোগিতার শুরুতে বুটক্যাম্প ছিল না। ৩য় সেশন থেকে বুটক্যাম্প যোগ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীরা ভালো প্রস্তুতি এবং দক্ষতা বাড়ানোর সূযোগ পায়।
১২ নভেম্বর, শনিবার সকালে বুটক্যাম্পের উদ্বোধন করবেন সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইএটিএল-প্রথম আলো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা চতুর্থবারের মতো শুরু হয়েছে গত ২৪ মে। এরপর সারা দেশের প্রায় ১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা চালানো হয়। একই সঙ্গে চলে অ্যাক্টিভেশন রাউন্ডও। পরবর্তী ধাপে সারা দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে জমা পড়া ধারণাপত্রের মধ্য থেকে ৫০০টি ধারণাপত্র নির্বাচন করা হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে এসব ধারণাপত্র জমা দেন। প্রতিযোগিতায় সেরা অ্যাপের জন্য রয়েছে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার। সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে ট্রফি। এ ছাড়া প্রতি বিভাগে প্রথম অ্যাপ পাবে দুই লাখ টাকা।
বিশ্বব্যাংক ও কানাডা এবারের আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ ও চ্যানেল আই।