মাইক্রোসফটের ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সোনিয়া বশির কবির

যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সর্বোচ্চ সন্মানজনক পুরস্কার ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির।   মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড মাইক্রোসফটের সবচেয়ে সন্মানজনক পুরস্কার। এ বছর ১০০,০০০ জনের মধ্যে ১৫জন ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত মাইক্রোসফটের বার্ষিক সাধারন সভায় প্রতিষ্ঠানটির ১০,০০০ উদ্যমী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এশিয়ার প্রশান্ত অঞ্চল থেকে সোনিয়া বশির কবিরকে মনোনিত করে উক্ত পুরস্কার হাতে তুলে দেয়া হয়। সুযোগ্য নেতৃত্ব, উদ্ভাবণ এবং ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য অবদানের উপর ভিত্তি করে ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে মাইক্রোসফট।

উল্লেখ্য, ‘প্লাটিনাম ক্লাব আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভার’ জয়ীদের মধ্য থেকে ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন করা হয়। ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড জয়ীরা পেয়েছেন বিল গেটসের স্বাক্ষর করা একটি করে রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ি।

সোনিয়া বশির কবির ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার আগে বিশেষ অবদানের জন্য মাইক্রোসফটের ‘এক্সিলেন্স প্লাটিনাম ক্লাব’-এর সন্মানজনক পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন।   মাইক্রোসফটে উল্লেখযোগ্য অবদান এবং সর্বোচ্চ পারদর্শিতার জন্য চলতি বছর মাইক্রোসফটের ১০০,০০০ জনের মধ্যে ২ শতাংশের কম কর্মকর্তা-কর্মচারী ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

সোনিয়া বশির কবিরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবসায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে যা সত্যিই অসাধারণ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আরো একটি প্রশংসনীয় বছর অতিবাহিত করেছে মাইক্রোসফট। দুবছর আগের পরিকল্পনায় যেসব অসম্ভব ছিলো সেগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি দ্বিগুণ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি নৈতিকতা এবং দলগত কর্ম সম্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইক্রোসফটের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম দিয়েছে যা মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং দৃষ্টিপাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের নারীদের জন্য চালু করা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা প্রশিক্ষণ উদ্যোগ ‘উইন্ডোজ উইমেন ক্যাম্পেইন’-এর নেতৃত্ব দেয়া ও পরিচালনা করার জন্য বিশ্বব্যাপি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন সোনিয়া কবির বশির। সরকারে সঙ্গে মিলে কাজ করার ক্ষেত্রে উক্ত ক্যাম্পেইনটি উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করে। এছাড়া পাইরেসি রোধে ‘উইন্ডোজ উইমেন ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে মাইক্রোসফট। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে কাজ করার পরিকল্পনা করার মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ।
সোনিয়া বশির কবির বলেন, “দুটি পুরস্কারে ভ‚ষিত হওয়ায় আমি বিনীত এবং বিস্মিত। এ প্রাপ্তি আমার জন্য একটি বিশাল স্বীকৃতি এবং আমি অনেক বেশি আগ্রহী ও উচ্ছসিত বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের সবাইকে উদ্যোমী করে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছি আমি। মাইক্রোসফটের মতো বিশ্ব বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়গুলো আমার জন্য সত্যিই অসাধারণ।

Share This:

*

*