ভেবে চিন্তে কিনুন ফটোকপিয়ার

একটা সময় ছিলো যখন কোন ডকুমেন্টের (দলিল-দস্তাবেজ) অনুলিপি বা নকল চাওয়া হতো তখন এক ধরনের তরল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হতো। তরল পদার্থ লেপটে যাওয়ার কারনে নকল কপিটির মান ততটা ভালো হতো না। ফলে অফিস আদাতলের নানান কাজকর্মে ব্যঘাত ঘটতো। তবে এর সমাধান পেতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। ১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিজ্ঞানী চেষ্টার কার্লসন তরল পদার্থের ব্যবহার ছাড়াই দলিল-দস্তাবেজ নকল করার একটি যন্ত্র আবিস্কার করেন। তিনি তার আবিস্কৃত যন্ত্রটিতে ধনাত্মক বৈদ্যুতিক প্রবাহ ও আলোর সঙ্গে গুঁড়ো কালি ব্যবহার করতেন। তবে এত দরকারী একটি যন্ত্রের বাণিজ্যক কার্যক্রম শুরু হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ১৯৪৭ সালের দিকে এই চেস্টার কার্লসনই জেরক্স করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে বাণিজ্যিকভাবে ফটোকপি মেশিন তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। তার পর পরই অনেক নামীদামি প্রতিষ্ঠান ফটোকপি মেশিন উৎপাদন ও ব্যবসা শুরু করেন।

অফিস-আদাতল বা স্কুল-কলেজ আজ এই যন্ত্রটির ব্যবহার সর্বত্র। কোন ধরনের ফটোকপিয়ার কিনবেন সেটা সম্পুর্ণই নির্ভর করছে আপনার কাজের ধরনের উপর। কনফিগারেশন ভেদে এর দামেরও ভিন্নতা রয়েছে। তাই ফটোকপি মেশিন কেনার আগে এই বিষয়গুলো নজরে আনতে হবে।

ফটোকপি মেশিনের ব্র্যান্ড ও গ্রহনযোগ্যতার যদি প্রশ্ন আসে, তাহলে সবার প্রথমেই যে নামটি আসে সেটি হলো জাপানের ব্র্যান্ড তোশিবা ফটোকপিয়ার। এই ব্র্যান্ডের মেশিনগুলোর স্থাীয়ত্ব অনেক এবং পাশাপাশি অপারেটিংও খুব সহজ। আর যে কোন ধরনের ট্রাবলশুটিং ব্যবহারকারী নিজেই অনায়াশে করতে পারেন। ফলে ক্রয়পরবর্তী ব্যয় অনেকটাই কম। অন্যান্য মেশিনের তুলনায় এর প্রিন্টিং ও স্ক্যানিং ক্ষমতা ও ওয়ার্মআপের সময় খুবই লক্ষণীয়।

বিডিস্টলে রয়েছে কাজের ধরন অনুয়ায়ী বিভিন্ন রেঞ্জের তোশিবা ফটোকপিয়ার।

https://www.bdstall.com/copier/toshiba/  লিঙ্কটিতে ক্লিক করে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দেরটি।

Share This:

*

*