ভিশন পিকিং কর্মসূচি নিয়ে আসছে ডিএইচএল সাপ্লাই চেইন

নেদারল্যান্ডে অগমেন্টেড রিয়ালিটি প্রযুক্তির সফল পরীক্ষার পর বিশ্বজুড়ে ভিশন পিকিং কর্মসূচি নিয়ে আসছে ডিএইচএল সাপ্লাই চেইন।  ডিএইচএল এর অংশীদার গুগল, ভুজিক্স ও উবিম্যাক্স ভিশন পিকিং সল্যুশন নিয়ে আরও কাজ করার প্রতিশ্রুতিতে ডিএইচএল বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন শিল্পের লজিস্টিক খাতে অগমেন্টেড রিয়ালিটি সলিউশন নিয়ে আসার মাধ্যমে এ খাতকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে কাজ করবে।

এ নিয়ে ডিএইচএল সাপ্লাই চেইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন গিলবার্ট বলেন, ‘এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও পরীক্ষা চালাবো। ভিশন পিকিং সল্যুশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে এটা আমাদের গ্রাহকদের জন্য সেবাকে সহজলভ্য করবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এ প্রযুক্তি শুধুমাত্র ম্যানুয়াল প্রক্রিয়াকে ডিজিটালই করবে না পাশাপাশি, এটা আমাদের শিল্পখাতকে ৪.০ প্রযুক্তির পরীক্ষার কাছাকাছি নিয়ে যাবে এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি, রোবোটিকস এবং ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ধারাবাহিকভাবে আমাদের ডিএনএ’র অংশে পরিণত হবে।’

ভিশন পিকিং সল্যুশনের ফলে সংগ্রাহক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট গ্লাস পরিধান করবেন। যার মাধ্যমে তারা দেখতে পারবেন কোন জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ট্রলিতে কোথায় রাখবেন। ভিশন পিকিং সল্যুশনের মাধ্যমে হাতের সাহায্য ছাড়াই অর্ডার পিক করা যাবে এবং কার্যক্রম একইসাথে আগের চেয়ে অনেক নির্ভুলভাবে ও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

ডিএইচএল সাপ্লাই চেইনের সিআইও মার্কাস ভস বলেন, ‘অগমেন্টেড সল্যুশন সাপ্লাই চেইনের জন্য কেমন হতে পারে তারই প্রথম পদক্ষোপ  ভিশন পিকিং কর্মসূচি।  এ প্রযুক্তির যে সম্ভাবনা রয়েছে তার বেশিরভাগই স্পর্শ করা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, এ কর্মসূচি আমাদের সাপ্লাই চেইন কার্যক্রম ও গ্রাহকদের নতুন সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে পট পরিবর্তনকারী ভূমিকা রাখবে।

অগমেন্টেড রিয়ালিটির বাজার সম্প্রসারনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে অগমেন্টেড রিয়ালিটি ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির বাজার স্মার্টফোনের পরেই সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হবে। অনেক সময় অনুমানের সাথে কিছুটা তারতম্য দেখা গেলেও গোল্ডম্যান সাকসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ববাজারে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ৮০ বিলিয়নেরর বাজার তৈরি সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে এম অ্যান্ড অ্যাডভাইজরি ফার্ম ডিজি ক্যাপিটালের  পূর্বানুমান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে এটা ১৫০ বিলিয়নে পৌঁছাবে। বাজারের আকার যাই হোক না কেনো মোবাইল অ্যাপ পোকেমন গো এর বর্তমান সফলতাই প্রমাণ করে এ বাজারে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা। বিনিয়োগকারীরাও এ প্রযুক্তির সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছেন। গত দু’ বছরে বিনিয়োগকারীরা ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্যাপিটাল বিনিয়োগ করেছে।

 

Share This:

*

*