তথ্য-প্রযুক্তি খাতে আরো বেশি বিদেশী কাজ আনতে এবার ভারতীয় শীর্ষ কোম্পানীর সাথে চুক্তি করলো কাজী আইটি। এর ফলে উন্নত বিশ্ব থেকে আরো বেশি আউটসোর্সিং কাজ আসবে বলে আশা করছেন সরকার। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের শীর্ষ আইটি কোম্পানী কাজী আইটি ও ভারতীয় শীর্ষ আইটি কোম্পানী ডাটা-কোর সিস্টেমস এর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। এসময় জানানো হয় এই চুক্তির ফলে ভারতের আইটি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের কাজী আইটিকে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা দেবে। এছাড়া তরুনদের বিশ্বমানের কাজ এনে দিতেও সহায়তা করবেন তারা।
এসময় বলা হয় আইটি খাতে ২০২১ সালের ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা তার জন্য আরেকধাপ এগিয়ে গেলো খাতটি। এছাড়া ভারতীয় ডাটা-কোর সিস্টেমস বাংলাদেশের বিভিন্ন হসপিটাল সহ শিক্ষা খাতের বিভিন্ন সফটওয়ার তৈরির পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, দেশের আইটি খাতকে এগিয়ে নিতে ও লক্ষ্য পূরণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার। আগামীতে কাজী আইটির মতো যে কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে তাদের পাশে থাকবে তারা। যে কোন মূল্যে ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্য অর্জনে এসময় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোর তাগিদ দেন তিনি। এসময় কাজী আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাইক কাজী বলেন, বাংলাদেশে বসেই আমেরিকান কাজ করছি আমরা। তবে ডাটা-কোরের সাথে চুক্তির ফলে আমাদের কাজে বৈচিত্রতা আসবে। আমরা আশা করছি ২ বছরের মধ্যে আমরা আরো কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে পারবো। এদেশের তরুনদের মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা আছে এখন শুধু প্রয়োজন সুযোগ দেয়া।”
এসময় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কেপি সেনগুপ্তা, সুব্রত মুর্খাজী, দিপালী আহমেদ সহ উদ্ধতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের আইসিটি বিভাগের সহযোগী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ বিশ^খ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এলআইসিটি’র সহযোগিতায় আজ উভয় পক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এলআইসিটি’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মো: রেজাউল করিম প্রকল্প পরিচালক এবং কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ। এছাড়া সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ কাজী আইটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।