বিগডাটা ও আইওটি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিগডাটা ও আইওটি বিষয়ক গবেষক এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে ২৫শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো Innovation With Big Data- IOT & Mobile শীর্ষক ইভেন্ট। বিকাল ৩ টায় চট্রগ্রামের প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট সেন্টারে (পিডিসি) এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  জীবনযাত্রাকে প্রতিনিয়ত আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে নতুনের সন্ধানে ছুটছে বিজ্ঞান। যেখানেই সমস্যার সম্মুখীন, সেখানেই সমাধানের পথ খুঁজতে ক্লান্ত উদ্ভাবকেরা। আপনার উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির সমন্বয় আপনাকে এনে দিতে পারে নতুন কোন সাফল্য।  এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, ‘ইনোভেটরস হাব’ এর অংশ হিসাবে দেশের বিভাগীয় শহরের মধ্যে প্রথমবারের মত চট্রগ্রামে এই সেমিনারের আয়োজন করলো

আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। প্রযুক্তির ভাষায় এ ডিভাইসগুলোকে বলা হয় ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ বা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট পণ্য। ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো থেকে উত্পাদিত ডাটা বিশ্লেষণের চাহিদাও বাড়ছে সমান তালে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী সেবা সরবরাহে নতুন ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ ইউনিট (আইওটি) এখন সম্ভাবনার নতুন দ্বারের সৃষ্টি করছে। আর পাশাপাশি তে, মার্কেট এনালাইসিস, স্টার্ট-আপ ও স্টাবলিশ বিসনেসগুলোর স্ট্রাটেজি এনালাইসিস করতে এক কথায় ডাটা নির্ভর বিশ্বে বিগ ডাটার ব্যবহার অতীব জরুরি।

অনুষ্ঠানে সন্মানিত প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম  চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম। সন্মানিত স্পীকার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ হানিফ সিদ্দিকি ( প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ সিএসই, চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটি ), ডঃ মশিউল হক ( চেয়ারম্যান, ডিপার্টমেন্ট অফ সিএসই, চুয়েট ), মোহাম্মাদ জামান ( পরিচালক-ভারচুসট্রিম, নিউ জার্সি, আমেরিকা ),  এরশাদুল হক ( ফাউন্ডার, রাইজআপ ল্যাবস ), মোঃ শাহীন ( ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পিবাজার )। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু।  মাহবুবুল আলম বলেন, উদ্যোক্তা থেকেই ভালো কিছু করা সম্ভব। তিনি নিজে একজন উদ্যোক্তা ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে জীবনে অনেক হোঁচট খেতে হতে পারে। তাই বলে পিছিয়ে আসলে হবে না। সবকিছুকে অতিক্রম করেই সাফল্যের দেখা মিলবে।

বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে এগিয়ে চললে আমদের দেশের তরুণ প্রজন্মের অনেক উদ্ভাবন বিকশিত হবে। ফলে দেশ-সমাজ-অর্থনীতির পরিবর্তন সম্ভব বলেও জানান তিনি।  ডঃ হানিফ সিদ্দিকি বলেন, এমন দিন বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষের সহযোগিতায় মেশিন যে কোন সিদ্ধান্ত নিবে। তিনি আগামীর ইন্ডাস্ট্রি-৪ এর কথা বর্ণনা করার প্রেক্ষিতে বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-৪ হলো এমন কিছু যা সবসময় কাস্টমার সেফটি এর কথা ভাববে। কাস্টমার যেভাবে চাইবে, সেভাবে সে ব্যবহার অথবা পরিচালনা করতে পারবে।  মোহাম্মাদ জামান বলেন, উদ্ভাবন হলো এমন কিছু করা যা কোন সমস্যার সমাধানের রাস্তা তৈরি করে কিংবা তৈরিতে সহায়তা করে। তিনি প্রযুক্তিতে আইওটি এর ব্যবহারের বিস্তার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বলেন, বাংলাদেশ আর এখন পিছিয়ে নেই। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে আমাদের দেশ এখন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তার ক্রমবর্ধমান বিকাশেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Share This:

*

*