বাংলালিংক সিম ভেরিফিকেশনে কোন গ্রাহকের আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করছে না

সরকার ঘোষিত বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনের কাজ এখন পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ও মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রচারণা এবং গ্রাহকদের আগ্রহের কারণে অনেকে আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভিরিফিকেশনের মাধ্যমে তাদের সিম নিবন্ধন করিয়ে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশনের পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষ এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলালিংক ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন চালু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন এক কোটিরও বেশি ছাড়িয়েছে, যা আমাদের গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৩৫%। যেহেতু সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে হচ্ছে, এ বিষয়ে দেশটির অন্যতম একটি বড় অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শিহাব আহমাদ বলেন, বাংলালিংক বায়োমেট্রিক সিম ভেরিফিকেশনে কোন গ্রাহকের আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করছে না, গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত কোন যন্ত্র বা এই কাজে সংশ্লিষ্ট কোন খুচরা বিক্রেতা কোন গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে না। গ্রাহকের তথ্য খুচরা বিক্রেতাদের ডিভাইসে দেওয়ার পর তা আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে চলে যায়। রেগুলেটর ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। আরো উল্লেখ্য যে,  বাংলালিংক বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত বিটিআরসি’র সকল নির্দেশনা সবসময় মেনে চলছে।

Share This:

*

*