বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তিনি সোমবার (২৩ অক্টোবর ২০১৭) সিলেটে অনুষ্ঠিত এনআরবি গ্লোবাল বিজনেস কনভেনশন ২০১৭ এ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এই আহ্বান জানান। সিলেটের আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনারে বেসিস সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। ১৯৭২ সালে তলাবিহীন ঝুঁড়ির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো। আজ সেটি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। আমরা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে আমাদের তৈরি সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা রফতানি করছি। দেশেই হার্ডওয়্যার তৈরি করছি।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ১৬ কোটির অধিক জনসংখ্যার এই দেশের প্রায় ৬০ শতাংশই তরুণ, ফলে জনবলের দিক থেকেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগও বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সিলিকন ভ্যালির আদলে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ভিলেজ তৈরি, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ভ্যাট অব্যহতিকরণ, ট্যাক্স রহিতকরণ কিংবা সর্বনি¤œ পর্যায়ে নিয়ে আসার ফলে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশ্বের বুকে অপার সম্ভাবনার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনাকে শুধুমাত্র বিদেশিদের ভোগ করতে না দিয়ে বরং প্রবাসীরাই এগিয়ে আসতে পারে। আগামীতে লোহা-লক্কড়ের শিল্পের পরিবর্তে মেধাভিত্তিক শিল্পই হবে প্রধান শিল্প। তাই বেসিস সভাপতি প্রবাসীদের বাংলাদেশের সফটওয়্যার তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান ও হার্ডওয়্যার তৈরিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তারা কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বেসিস সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্লোরা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা সামসুল ইসলাম, পরিচালক সুফিয়া ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত শনিবার (২১ অক্টোবর ২০১৭) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে এবং সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।