বাংলাদেশী চিকিৎসকদের নিয়ে ফেরার পার্ক হসপিটালের নলেজ শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত

ফেরার পার্ক হসপিটাল সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নতুন প্রাইভেট টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞদের ডিজাইনে তৈরি এই হাসপাতালে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির চিকিৎসা পদ্ধতি। সম্প্রতি এই হসপিটালটি বাংলাদেশী চিকিৎসকদের নিয়ে একটি নলেজ শেয়ারিং সেশনের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ১৮ জন প্রখ্যাত চিকিৎসক সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে দিনব্যাপি এই সেশনে অংশগ্রহণ করেন। ফেরার পার্ক হসপিটালের গ্যাস্ট্রোইনট্রোলজিস্ট ডা. ভিনসেন্ট লাই, জেনারেল সার্জন ডা. কান ইউক মান এবং নেফ্রোলজিস্ট ডা. লোহ পিং টিউগ এই সেশন পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসকবৃন্দদের মেডিসিন ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা আরও বাড়াতে এই সেশনের আয়োজন করা হয়। এই নলেজ শেয়ারিং সেশনটি তাদের নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে। সেশনের উদ্দেশ্য ছিলো ফেরার পার্ক হসপিটালের বিভিন্ন বিষয়ের অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ থেকে আগতদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা। ফেরার পার্ক হসপিটাল সেরা মানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এফপিএইচ নলেজ শেয়ারিং-কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা এফপিএইচ-এর সুসজ্জিত হাসপাতালের সাথে বিশেষায়িত বৈশিষ্টসমূহ দেখে অভিভূত। এই হাসপাতালে সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত ৮,০০০ এরও বেশি ডাটা পয়েন্ট এবং পর্যাপ্ত ক্যাটাগরি ৬টি ক্যাবল রয়েছে, যার নিরবিচ্ছিন্ন ডাটা ফ্লো মেডিকেল বিশেষজ্ঞ ও সহযোগিদের সকল সেমিনার রুম ও হোটেল ফাংশন রুমে সার্জারিতে সহযোগিতা করে। একই সাথে এটি সহকর্মীদের সাথে রিয়েল টাইম তথ্য শেয়ার করতে সাহায্য করে এবং এটি নিরাপদ সেটআপ ডাটা রেকর্ডিং, পুনঃরুদ্ধার ও বিশ্লেষণ করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “আমি ফেরার পার্ক হসপিটালের অত্যাধুনিক সেটআপ দেখে সত্যিই অভিভূত। ফেরার পার্ক হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের এই আয়োজনটি আমি অনেক উপভোগ করেছি। অনেক বিষয় সম্পর্কে আমি জেনেছি। সিঙ্গাপুরের এই সফরটি আমার পেশাগত অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। এটি সত্যিই একটি সময় উপযোগী এবং আমার সবচেয়ে সেরা নলেজ শেয়ারিং সেশনগুলোর একটি”।

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদির বলেন, “এই মতবিনিময় সেশনটি আমি যথেষ্ট উপভোগ করেছি। এটি ছিলো ব্যাপক তথ্যবহুল একটি সেশন। কীভাবে আমাদের সেবার মান বাড়ানো যায় সে বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছিলো এই সেশনে”।

গ্যাস্ট্রোইনট্রোলজিস্ট ডা. মুশতাক বলেন, “এই সফরে আমার ব্যাপক অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আমি জাপান, হংকং ও ভারতে এ ধরনের নলেজ শেয়ারিং সেশনে অংশগ্রহণ করেছি। তবে, এই সেশনটিকে আমার খুবই উপযুক্ত মনে হয়েছে। আমি সবসময় মনে করি যে, জ্ঞান বিনিময় আতেœান্নয়নের জন্য খুবই উপকারী”।

ফেরার পার্ক হাসপিটালের সিইও ড. টিমোথি লো বলেন, “ফেরার পার্ক হসপিটাল-এ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের আঞ্চলিক কার্যক্রম এমন ইতিবাচক সাড়া ফেলতে পেরেছে। এই ধরনের সেশনগুলো আমাদের আঞ্চলিক কমিউনিটিগুলোর ক্লিনিক্যাল কেয়ার বিষয়ে জানাতে সাহায্য করে এবং সেবাগুলো এখানে পাওয়া যায়। এছাড়াও, অর্জিত জ্ঞান স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান বৃদ্ধি করবে, যাতে ডেলিগেটরা তাদের কর্মক্ষেত্রে সম্মানিত হন”।

Share This:

*

*