প্রয়োজনে পেপার শ্রেডার

অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা দলিল দস্তাবেজ (ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল) প্রায় সময়ই গোপণীয়তা বজায় রাখতে ধ্বংস করে ফেলতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এই কাজটি হাতে করে থাকি। কিন্তুু এটা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। কারন কাগজ হাতে ছিড়েঁ ফেললে তা আবার দৃশ্যমান অবস্থায় বা পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে আধুনিক প্রযুক্তি সম্মত কাগজ কাটার (ছিড়ে ফেলা) মেশিন রয়েছে । যা কিনা প্রেপার শেডার নামে পরিচিত। পেপার শ্রেডার হলো একটি মেকানিক্যাল ডিভাইস যা কাগজকে অতিসূক্ষ্ম কণায় কাটতে ব্যবহারিত হয়। সাধারণত কোন সরকারী সংস্থার কাগজপত্র, ব্যবসায় ব্যবহৃত কাগজ পত্র এবং যে কোন ব্যক্তিগত কাগজপত্র অথবা সংবেদনশীল ডকুমেন্টগুলি অত্যন্ত গোপনীয়তার সহিত ধ্বংস করতে পেপার শ্রেডার ব্যবহরিত হয়। অনেক সময়ই দেখা গেছে যে অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলোর কপি কিংবা আসল ডকুমেন্টিই ধ্বংস করার প্রয়োজন হয়ে পরে কারণ আমাদের ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহৃত কাগজ পত্রের কপি যদি অন্যের হাতে পরে যায় তাহলে সেটা আমাদের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।এমন অনেকেই রয়েছে যারা কিনা আপনার ফেলে দেওয়া কাগজকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম করে যাচ্ছে। এতে কিন্তু যে কোন সময়ই আপনার কোন ধরনের অপরাধ না করেও আইনিভাবে ফেসে যাওয়ার আশংকা রয়েই যায়। তাই আপনার অতিগুরুত্বপূর্ণ বা ব্যাক্তিগত সব কাগজপত্র ডাস্টবিনে ফেলার আগে একদম ব্যবহার অনুপযোগী করে তারপর ডাস্টবিনে ফেলা উচিত যেই কাজটিই পেপার শ্রেডারের করে থাকে।

পেপার শ্রেডারের সুবিধা –

১. আকর্ষনীয় ডিজাইনের হওয়ায় এটি যে কোন অফিসের যে কোন জায়গাতেই শোভা পায়।

২. বহন করা সহজ এবং যে কোন স্থানে সহজে সরানো যায়।

৩. বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় কোন ধরনের ঝামেলা নেই বললেই চলে। এর ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ঘন ঘন কাটা কাগজ পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না।

৪. মেশিনে কাগজ ইনপুট ও আউটপুটের সিস্টেমটিও ঝামেলাবিহীন।

পাশাপাশি পেপার শ্রেডারের অসুবিধাও রয়েছে-

১. তুলনামূলক আকারে একটু বড় হওয়ায় যে কোন স্থানে রাখার জন্য একটু জায়গা বেশি লাগে।

২. অনেক বেশি কাগজ ধ্বংস বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে ব্যবহারের অনুপযোগী।

বাংলাদেশে সবচেয়ে কমদামে ভালো মানের পেপার শ্রেডার পাওয়া যায় বিডিস্টল এ। বিস্তারিত https://www.bdstall.com/paper-shredder/

Share This:

*

*