পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে পলকের ক্ষোভ

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) জরিপ অসম্পূর্ণ ও অযৌক্তিক বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাত্র দেড় কোটি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র দেড় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের এ অবস্থা দেখে অবাক হয়। অথচ বাংলাদেশে ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ইন্টারনেট কানেটিভি, বিভন্ন সফটওয়্যার তৈরি ও হার্ডওয়্যারের কাজে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। হার্ডওয়্যার খাত থেকে প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ডলার ও ফাইনান্স খাত থেকে ৫০ কোটি ডলার আয় করছি।

জরিপে শুধুমাত্র ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রবেশাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইন্ডাস্ট্রিকে এর আওতায় আনা হয়নি। এছাড়াও জরিপে হার্ডওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই জরিপটি দেশের সার্বিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিবেদন হিসেবে কথা বলতে পারে না বলে বলেন পলক।

এছাড়াও সরকার প্রতিবছর ২০ হাজার তরুণকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। যা এখন ৫০ হাজারের বেশি বলে বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।

পরে বিবিএসের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আমাদের বেশকিছু অক্ষমতার জন্য সময়মতো জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারি না। তবে পদ্ধতিগতভাবে আমাদের রিপোর্টটি নির্ভুল।

তবে এটাকে একটা বেইজ লাইন বলে উল্লেখ করে ওয়াজেদ বলেন, কাউকে বিব্রত করার জন্য এসব তথ্য দেওয়া হয়নি। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কিছুও এই রিপোর্টে রাখা হয়নি।

পরে কর্মশালার সভাপতি তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, যেকোনো জরিপে ভৌগোলিকসহ বেশকিছু বাধা থাকে। তবে সেগুলো অতিক্রম করেই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বিবিএস পরের দিনগুলোতে মাথায় রেখেই কাজ করবে।

গত ৪ জানুয়ারি বিবিএস তাদের সাইটে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, এতে দেশে মোট ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার পরিবার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ৩৬ হাজার ২৬৮ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ভিত্তিতে এ জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭১৪ ব্যক্তি।

Share This:

*

*