আরো ৩০ হাজার নারী সরকারী প্রশিক্ষণের আওতায়

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনের সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। তাই, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে আমাদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করছি। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, এই ওয়াইফাই উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ৩০ হাজারেরও বেশী নারী উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে পারব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের জীবন, পরিবার এবং সমাজ পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আজ সকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত উইমেন এন্ড আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিশিয়েটিভ(ওয়াইফাই) এর প্রি-লঞ্চিং অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ হাজার নারীকে ফ্রি-ল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উচ্চতর পর্যায়ের ফ্রি-ল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে, আগামী ৩ বছরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২ লক্ষ ৬০ হাজার নারীকে টেকসই নারী উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে মোবাইল ট্রেনিং বাস চালু করা হয়েছে, ন্যাশনাল হাই-স্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আওতায় নারীদের জন্য প্রোগ্রামিং কনটেস্ট চালু করা হয়েছে। নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এ সকল কার্যক্রম আরও বেশী ফলপ্রসূ ও টেকসই হবে। ফলে নারীরা সমাজ উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখবে।   বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেন, এদেশের নারীরা ই-কমার্স ও এফ-কমার্সে এগিয়ে এসেছে। তারা তাদের মেধার স্বাক্ষরও রাখছে। এবার ওয়াইফাই কার্যক্রমের মাধ্যমে এদেশের উদ্যোমী নারীদের সাথে যেহেতু আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও সরকারের সহযোগিতা যুক্ত হলো, তাই ওরা আরও এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী,  এশিয়া ফাউন্ডেশনের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সারা টেইলর, ইউএনডিপি’র জেন্ডার এন্ড পার্টনারশীপ স্পেশালিস্ট মেলিসা বালজান প্রমুখ।
এই প্রি-লঞ্চিং সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসসহ ব্যবসায়িক খাতের নেতৃবৃন্দ, নারী উদ্যোক্তাগণ।  ইউএনএসকাপ-এপিসিআইসিটি’র এই ফ্ল্যাগশীপ উদ্যোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, কাজাকিস্থানে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও এই কার্যক্রম চালু করতে ইতোমধ্যে এই উদ্যোগের আওতায় প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ(টিওটি) কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দুটো ব্যাচে ২০ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।

Share This:

*

*