নন স্টপ বাংলাদেশ

চতুর্থ বারের মত শুরু হতে যাচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬’। এ উপলক্ষে আজ  তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী ১৯-২১ অক্টোবর ২০১৬ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চলবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।  আর বাংলাদেশের অন্যান্য সকল খাতের চাইতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অতিশয় সৌভাগ্যবান এই জন্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে এমন একজনকে পাশে পেয়েছেন, যিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্মুখ সমরের এক প্রতিষ্ঠিত যোদ্ধা। মাননীয় উপদেষ্টার সুচিন্তিত পরামর্শে ও নির্দেশনায় বিগত সাড়ে সাত বছরে আইটি খাতের আয় ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, হয়েছে ২৩ গুণ প্রবৃদ্ধি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা থেকে শুরু করে আজ অবদি আমরা এগিয়ে চলেছি। তার প্রমাণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ। তার প্রমাণ আমাদের বিস্তৃত কর্মযজ্ঞ। এই যে ডিজিটাল বাংলাদেশের এত সব অর্জন, তা যেমন জানানোর প্রয়োজন আছে, তেমনি আমাদের এই কর্মপন্থায় পারস্পরিক শেয়ারিং করারও প্রয়োজন আছে।  এই বিবেচনায়, বিগত ৪ বছর ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইটি ইভেন্ট ডিজিাটল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করে চলেছি। আগামী ১৯-২১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই। আসুন, দেখুন, জানুন এবং নিজেকেও ডিজিটাল বাংলাদেশে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের বাসিন্দা হতে ভমিকা রাখুন।

‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হতে যাওয়া এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ২০১৬-এ সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম তুলে ধরতে অংশ নেবে এবারের আয়োজনে। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে মাইক্রোসফট, ফেসবুক, একসেন্সার, বিশ^ব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশী বক্তাসহ প্রায় দুই শতাধিক বক্তা ১৮টি সেশনে অংশ নেবেন।  এছাড়াও ৭টি দেশের ৭ জন মন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন বিকাল ৩.৩০ টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে অংশ নেবে।
স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইটি ক্যারিয়ার-বিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে থাকবে ডেভেলপার সম্মেলন। এছাড়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের তরুণ শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তি প্রেমিদের জন্য প্রদশর্নীতে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপোজিসন, মোবাইল ইনোভেশন, ই-কমার্স এক্সপো, স্টার্টআপ জোন ছাড়াও আইসিটি সংশি­ষ্ট ১২টি সেমিনার, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস কনফারেন্স, আইসিটি এডুকেশন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আয়োজনে প্রায় ৪৩ জন বিদেশি আইসিটি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ আয়োজনের প্লাটিনাম পার্টনার আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। পার্টনার হিসেবে আয়োজনের সহযোগী হয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ উইমেন ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিডবি­উআইটি), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম(বিআইজেএফ) ও বোল্ড।

Share This:

*

*