আজ সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ডিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবমেরিন ক্যাবলটির ল্যান্ডস্টেশন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায়। নতুন এই ক্যাবলের মাধ্যমে দেশের ব্যান্ডউইথ ঝুড়িঁতে আরও ১,৫০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ যোগ হলো।
সাবমেরিন ক্যাবল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই এই সাবমেরিন কেবলের সংযোগটা যখন দক্ষিণ এশিয়ায় আসে তখন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকার বিনা পয়সার এই ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। এজন্য প্রস্তাবও বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া বলে দিয়েছিল এটা নাকি সংযু্ক্ত করা যাবে না। কারণ এটা সংযুক্ত করলে বাংলাদেশের সকল তথ্য বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। তখন বিএনপির সকল মন্ত্রী ও এমপিরাও এই সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নয়। ফলে সেই প্রস্তাব নাকোচ হয়ে গেল। আমরা বিনাপয়সায় সংযোগটা পেলাম না।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯১ ও ৯৪ সালে সংযোগের প্রস্তাব আসে। কিন্তু দুইবারই তারা নাকোচ করে দেয়। বাংলাদেশের জন্য যা ছিল দুর্ভাগ্যজনক। দেশ যারা চালাবে তারা যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চিন্তা-ভাবনা না থাকে, স্বপ্ন না থাকে এবং টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তবে দেশ যে কত পিছিয়ে যায় তা নিশ্চয়ই দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় এসেই দুটি সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়া গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হবার উদ্যোগ নিলাম, কিছু পদক্ষেপ নিলাম, কিছু কার্যক্রম করেও গেলাম। পরবর্তীতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় যখন আসলো তখন তখন সীতাকুণ্ড থেকে এটা নিয়ে যাওয়া হলো কক্সবাজার। সেখানে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হলো। একটা ক্যাবল দিয়ে যেহেতু এটা কক্সবাজারে তাই এটা দিয়ে বাংলাদেশকে কভার করা কিংবা গতিটা ধরে রাখা বেশ কঠিন কাজ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আজ আমাদের সৌভাগ্য যে সেটা উদ্বোধন করতে পেরেছি।
২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৪ টেরাবাইট গতির স্ট্রাকচারের এই সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশের জন্য ব্যান্ডউইথ থাকছে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস। এতে যুক্ত রয়েছে ১৭ টি দেশ এবং এর ল্যান্ডিং পয়েন্ট ১৮ টি।