দেশে উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলো অগ্রণী ভুমিকা রাখতে প্রস্তুুত

টাই ঢাকা এবং এন্ট্রেপ্রেনিউরস অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের কো-ফাউন্ডার এবং জাংগল ভেঞ্চারস এর ম্যানেজিং পার্টনার জয়েশ পারেখ বলেছেন, “ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগে সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকায় সরকারের উচিত সরাসরি বিনিয়োগ না করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা। অন্যান্য অনেক দেশ যেমন সিলিকন ভ্যালি এবং সিঙ্গাপুর এর ন্যায় বাংলাদেশ সরকারও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিদেরবিনিয়োগবিনিয়োগতহবিলেসমপরিমানতহবিল (Matching Fund) দিতে পারে।গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার এক রেস্তোরায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সেমিনারে অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে উপস্থিত ছিলেনএন্ট্রেপ্রেনিউরস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হোসেন খালেদ এবং টাই ঢাকার প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান। সেমিনারটিতে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি, এসএমই, মন্ত্রণালয়, অ্যাম্বাসি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন যার ফলশ্রুতিতে অনেক বাংলাদেশি সফল উদ্যোক্তা, টাই ঢাকার বোর্ড মেম্বার, বিনিয়োগকারী, ইনকিউবেটর, সি লেভেল এক্সিকিউটিভ, সচিব এবং বক্তারা একই ছাদের নিচে সম্মিলিত হয়। আভিস্কারের পার্টনার সঞ্চায়ন চক্রবর্তী এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিনা খুশালানীও উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। আভিস্কার একটি ইন্ডিয়ান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম যেটি ক্ষুদ্র এবং মাঝারী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে থাকে যা উপার্জন বৃদ্ধিতেঅথবা গ্রাম ও উপশহরগুলোতে পণ্য বা সেবা দিয়ে সাহায্য করে।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া কবির, সাবেক সভাপতি, টাই ঢাকা, তাহসিন আমান, বোর্ড ডিরেক্টর এবং এন্ট্রেপ্রেনিউরস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশে থেকে ছিলেন জিয়া উদ্দিন, ফোরাম চেয়ার; এরিক চৌধুরী, ইন্টেগ্রেশন চেয়ার, ফাতিন হক, জিএসইএ চেয়ার, নাভিদ রাশিদ, ফোরাম কো-চেয়ার, ওমর মোহাম্মদ ভাই, স্ট্রেটেজিক এলায়েন্স চেয়ার, আহাদ মোহাম্মদ ভাই, মার্কেটিং চেয়ার।

এন্ট্রেপ্রেনিউরস অর্গানাইজেশন এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট হোসেন খালেদ বলেন,“ইও বাংলাদেশের লক্ষ্য অনুযায়ী এই জাতীয় ইভেন্টগুলো উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা আশা করি যে বহির্বিশ্বের উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে ব্যাবসা শুরু করার সুযোগ পাবে।

শামীমআহসানবলেন,তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে এখনও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। অধিকাংশ উদ্যোক্তারাই বিনিয়োগকারী এবং উপযুক্ত মেন্টরের অভাবে ব্যাবসার শুরুর দিকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

জয়েশ সিঙ্গাপুরের একজন অন্যতম গ্লোবাল এঞ্জেল ইনভেস্টর এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। জয়েশ সনি ইন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের কো-ফাউন্ডার। উল্লেখ্য, এই টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সনি জাপানের সাথে সম্মিলিতভাবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এছাড়াও আইবিএম এর হাউস্টন এবং সিঙ্গাপুরেরএর বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং মার্কেটিং এর বড় বড় পজিশনে সুদীর্ঘ ১২ বছর উনি কর্মরত ছিলেন। আইবিএমকে ইন্ডিয়ায় আনার পেছনে যে টিম কাজ করেছেন তিনি সে টিমেও ছিলেন।

ইভেন্টের আয়োজক ঢাকা টাই এবং এন্টারপ্রিনিয়ারসঅর্গানাইজেশন (ইও) উভয়ই বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য সুপরিচিত অলাভজনক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের অংশ। টাই এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে একদল উদ্যোক্তার হাতে যারা সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের জন্য কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।অন্যদিকে তরুণ উদ্যোক্তাদের একটি দল ১৯৮৭ সালে ইও প্রতিষ্ঠা করে, যার উদ্দেশ্য হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একে অন্যের সাথে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা যাতে করে ব্যবসায়িক সাফল্য নিশ্চিত হয় ও ব্যক্তি জীবনে সমৃদ্ধি আসে।

Share This:

*

*