দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে মেয়েদের ভুমিকা অনস্বীকার্য

বাংলাদেশে বিজ্ঞান,প্রযুক্তি,প্রকৌশল ও গণিতে মেয়েদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে ।  এই সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বুধবার ঢাকার কাওরান বাজারস্থ জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সভা কক্ষে এক গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ।  তিনি বলেন দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে মেয়েদের ভুমিকা অনস্বীকার্য।  তবে তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।   তাহলেই তারা অসাধ্যকে সাধন করতে পারবে।   কিন্তুু পরিবার থেকেই মেয়েদের পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।   তারা যেন নির্দিষ্ট গন্ডি পেরুতে না পারে তার জন্য তাদের বাবা-মায়েরাই শিকল দিয়ে বেধে রাখছেন।   তাদেরকে জন্ম পরই শেখানো হচ্ছে তার জন্ম স্বামী সংসার করার জন্যই।   তাদেরকে সাহস দেওয়া হচ্ছে না। এই গন্ডি পেরিয়ে অন্য কিছু করার।   তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫০ লক্ষ মেয়েরা  দেশের স্বকীয়তা অর্জন করার জন্য গামেন্টস শিল্পে নিজেরদের অসাধারণ শ্রম দিয়ে যাচ্ছে ।   এবং এটাই প্রমান করে যে তারা যে সময়ে কাজ করছে, যে বেতনে কাজ করছে যে পরিবেশে কাজ করছে তা একটি বড় দৃষ্টান্ত যে আমরা যদি তদেরেকে পরিবেশ দিতে পারি তাহলেই মেয়েরা আরও এগিয়ে যাবে।

তথ্য প্রযুক্তিতে মেয়েরা ঘরে বসেই অনায়াসে অনেক কাজ করতে পারে।   যা দেশের অর্থনীতেকে আরও সমৃদ্ধ করবে।   ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেযে বড় ভুমিকা মেয়েদের উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, মেয়েরা কাজের বিষয়ে অনেক বেশি আন্তরিক। তাদের সময় নিয়ে ভাবতে হয় না। তারা অজুহাত তৈরি করে না। বর্তমানের মায়েদেরও ডিজিটাল করা বেশি দরকার। মা যদি ডিজিটাল হয়, তাহলে বাচ্চারাও ডিজিটাল হবে। শেষ কথা আর আমরা যদি  আমাদের নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল করতে চাই তাহলেই তারা ডিজিটাল হবে। শেষে তিনি বলেন আমি শুধু আ্ইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়েরে দায়িত্ব নিচ্ছি না। আমার যেখানে যেখানে যেই মন্ত্রনালয়ে যাওয়া দরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমি সেখানেই যাবো। বেঠকে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মরগুয়াব স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. সামিনা এম সাইফুদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিডিওএসএন-এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান উপস্থিত ছিলেন।

Share This:

*

*