দশ হাজার থ্রি জি বিটি্এস স্থাপনের কাজ শেষ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এ উপলক্ষে গতকাল ঢাকার সোনারগাও হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম দশ হাজারতম বিটিএসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিটিআরসির চেয়্যারমান ডঃ শাহজাহান মাহমুদ এবং গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি উপস্থিত ছিলেন।তারান হালিম বলেন গ্রামীণফোনের এ উদ্দেগ্যের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। তিনি আরো বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নে এগিয়ে এলে আমরা অবশ্যই তাদের পাশে থাকবো।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। আমাদের বিনিয়োগ আর আমাদের সাফল্য আজ শুধু গ্রামীণফোনের নয়। এই ১০ হাজার বিটিএস এখন একটি জাতীয় সাফল্য এবং আমরা বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই। এই অঞ্চলে জনসংখ্যার বিচারে এটি অন্যতম দ্রুত এবং বৃহৎ থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তার। এর ফলে শুধু দেশের প্রায় সব মানুষ থ্রিজির আওতায় আসেব না, সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো পক্ষে আরো বেশি মানুষের কাছে কার্যকরভাবে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান গ্রামীণফোনকে থ্রিজি বিস্তারের সময় যে উদ্দীপনার সাথে তার কাজ করেছে এর মান বজায় রাখতেও একই উদ্দীপনা প্রদর্শনের আহবান জানান। দশ হাজারতম বিটিএস উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানে একটি পরিসংখ্যানও দেওয়া হয় এতে বলা হয় এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪,১৪,৮৭৭ মানব ঘন্টা শ্রম দিতে হয়েছে, তারা ভ্রমণ করেছে ১,৩১১,০৪০ কিলোমিটার এবং তাদের চড়তে হয়েছে ৬৮০,০০০ মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান।
উদ্বোধনের পর ১০,০০০ তম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি।