তরুনদের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় আমি আনন্দিত – পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলালিংকের মূল কোম্পানী ভিম্পেলকম গ্রুপের হেড অব ইমার্জিং মার্কেট, জন এডি দেশের প্রথম ডিজিটাল ইনকিউবেটর স্টার্ট-আপ পরিদর্শন করেছেন। প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ইনকিউবেটরটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সত্যিকার ডিজিটাল উদ্ভাবনসমূহ নিশ্চিত করা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।

উদ্যোগটি তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যাবসায়ের জন্য তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সাহায্য করছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ইতিমধ্যে বিভিন্ন যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার সরকারের এই ডিজিটাল অগ্রযাত্রার প্রত্যয়ে বাংলালিংক পূর্ণ সমর্থন করে। বাংলালিংক তার গ্রাহকদের সম্ভাবনাময় আগামীর ডিজিটাল বিশ্বে নিয়ে আসতে চায়। এই স্টার্ট-আপগুলো অপার সম্ভাবনাময় আগামীর ডিজিটাল বিশ্বের ভবিষ্যত এবং বাংলালিংক একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্টার্ট-আপদের উদ্ভাবিত অ্যাপ্লিকেশনগুলো বিক্রি করার প্রথম সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করতে চায়।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, “আমি দেশের তরুণ প্রতিভাবানদের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা দেখে খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। দেশের প্রথম আইটি ইনকিউবেটরকে সহায়তা করার জন্য বাংলালিংককে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সরকার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং এই তরুণ প্রতিভাবানদের উদ্ভাবিত পণ্য ও সেবাসমূহ দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাব।”

আইটি ইনকিউবেটর পরিদর্শনকালে ভিম্পেলকম-এর হেড অব ইমার্জিং মার্কেট, জন এডি বলেন, “এই আইটি ইনকিউবেটর কেন্দ্রটি ভিম্পেলকমের কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি “মেক ইউর মার্ক” উদ্যোগের একটি অংশ। ভিম্পেলকম বিশ্বাস করে যে, ডিজিটাল অগ্রযাত্রা কেবল জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতেও বিশেষ অবদান রাখে। তরুণদের ডিজিটাল স্টার্ট-আপের এই আয়োজনে আমি সত্যিই খুব অনুপ্রাণিত এবং এর সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। এই ডিজিটাল অগ্রযাত্রা আমি মনে প্রাণে সমর্থন করি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই স্টার্ট-আপগুলো বাংলাদেশকে ডিজিটাল জাতিতে রূপান্তরে একটি চমক সৃষ্টি করবে”।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল কমিউনিকেশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, ডিজিটাল স্টার্টআপদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারে আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়।

Share This:

*

*