তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার করতে হবে: পলক

“বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। কিন্তু ৭৫ সালের পর দুটো প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও গৌরবগাঁথা যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম-আন্দোলন-ত্যাগ ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি” মহান বিজয় দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সিম্পোজিয়াম এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ইনডেমনিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিচারহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল জিয়াউর রহমান। আমরা ৩৭ বছরের সেই কালো আইন রহিত করে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছি।

“২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা রেখে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিলেন। শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব ও তারই আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমরা সারাদেশে ২০২১ সাল নাগাদ এই আইসিটি সেক্টরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান ও আইসিটি সেক্টরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি”, পলক আরও বলেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক ড . সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মুক্তির জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। মুক্তির যুদ্ধ অনি:শেষ যা আজও চলমান রয়েছে। আমাদেরকে এই যুদ্ধেও বিজয় অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে একটি বৈধ সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুধু আমাদের অর্জনই না, আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা, জাতির জন্য এক বিরল সম্মানও বটে।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা শোধ করতে চাই না, এই ঋণ বহন করেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব এর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক মালিহা নার্গিস, সার্টিফায়িং অথরিটিজের নিয়ন্ত্রক আবুল মনসুর মো: সারফ উদ্দীন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Share This:

*

*