সচেতনতা, নীতি ও আইনের সমন্বয় ঘটিয়ে ইন্টারনেট গভর্নেন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। সচেতন হতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে। মানবকল্যাণকে সবার ওপর গুরুত্ব দিয়েই অ্যালগরিদমকে সাজাতে হবে। পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে জাল সংবাদ, গুজব, ব্যাক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা, ডিজিটাল মাধ্যমে লেন-দেনের ক্ষেত্রেও। এসব জ্ঞান ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার মোহাম্মাদপুরস্থ ওয়াই ডব্লিউসিএ ট্রেনিং সেন্টারে শুরু হওয়া দুই দিনের বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ-২০১৯) স্কুলে এসব কথা তুলে ধরেন বক্তারা। মেশিন লার্নিং, ব্লগচেইন ও ডাটার নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত স্কুলের প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু। অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক এবং বিআইজিএফ সদস্য আফরোজা হক রিনা।
দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এসডিজি বাস্তবায়নে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের ওপর আলোকপাত করেন বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, ইন্টারনেট দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন এপিআরআইজিএফ১৯ ফেলো শাহ জাহিদুর রহমান।
সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশনে দি কম্পিউটার্স লিমিটেডের(টিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক ই রব্বানী ব্লকচেইনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। ডাটার নিরাপত্তা ও প্রইভেসি নিয়ে আলোচনা করেন আইসক ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মিস অমৃতা চৌধুরি।
প্রথম দিনের শেষ অধিবেশনে মেশিং লার্নিং বিষয়ে ধারণা দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনটিএমসি প্রকল্প পরিচালক রাকিবুল হাসান।
তরুণ পুরুষ, নারী, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক- শিক্ষানুরাগী, টেকনিক্যালসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবী ৪৫জন অংশীজন এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআজিএফ) আয়োজনে এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে এপিএসএ, আইক্যান, ফাইবার অ্যাট হোম, আইএসপিএবি, ই-ক্যাব, বিএনএনআরসি এবং কম্পিউটার জগৎ।
সম্মেলন শেষ হবে শনিবার। এটি বিডিসিগের তৃতীয় আয়োজন।
2 hours ago
Bhiya ektu change acha bole
2 hours ago