ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ডব্লিউসিআইটি ২০২১

প্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি (ডব্লিউসিআইটি) ২০২১ এর আয়োজক দেশ হবে বাংলাদেশ বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং ব্যাটন হস্তান্তর করেছেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর চেয়ারম্যান ইভোন চু। ডব্লিউসিআইটি ২০২০ এর সমাপণী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

২০ নভেম্বর ( শুক্রবার) মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউসিআইটি ২০২০ এর সমাপণী অনুষ্ঠানে পরবর্তী বছরের আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়। সমাপণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’র সভাপতি এবং উইটসার পরিচালক মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

১৯ নভেম্বর (বৃহষ্পতিবার) ‘দ্য ভার্চুয়াল ২০২০ উইটসা আইসিটি এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে দেশের ছয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স(উইটসা) এর ৯টি বিভাগের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশীয় ছয়টি প্রকল্প অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মানের উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছে বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর মনোনীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে কোভিড ১৯ টেক সলিউশনস ফর সিটিজ অ্যান্ড লোকালিটিজ বিভাগে সিনেসিস আইটি লিমিটেড ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই এর যৌথ প্রকল্প, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিভাগে সরকারের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প, ইনোভেটিভ ই-হেলথ সলুসনস বিভাগে মাইসফটের মাই হেলথ বিডি, ভার্চ্যুয়াল হসপিটাল অব বাংলাদেশ এবং ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগে বিজয় ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ডিজিটাল অপরচুনিটি অর ইনক্লুশন বিভাগে নগদ এবং সাসটেইনেবল গ্রোথ বিভাগে ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রিজম ইআরপি’কে মেরিট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।

ওয়ার্ল্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতিবছর এই পুরস্কারের আয়োজন করে থাকে। বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একে সম্মাজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবারের পুরস্কার সম্পর্কে উইটসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর যেসব সংস্থা তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানবজাতির জন্য সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তাদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

‘দ্য ভার্চুয়াল ২০২০ উইটসা আইসিটি এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উইটসার চেয়ারম্যান ইভোন চু।

বাংলাদেশের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে উইটসার মহাসচিব ড. জিম পয়সান্ট বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে খাতে সাফল্যের সাথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উইটসা অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য আমি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। পরবর্তী বছর বাংলাদেশ ডব্লিউসিআইটি ২০২১ এর আয়োজক। এই আয়োজনকে তারা দৃষ্টিনন্দন এবং সাফল্যমন্ডিত করে তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম আয়োজন হবে বলে আমি আশা করি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সংগঠন উইটসার সদস্য। উইটসা অ্যাওয়ার্ড অর্জন প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুপ প্রভাবে অনেক হিসেব নিকেশ বদলে গেছে। এই সময় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য আমাদের গর্বিত করে। আন্তর্জাতিক পরিসরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উইটসা ৮০ টি দেশের সঙ্গে কাজ করছে। তাই এই অর্জন দেশের জন্যও সম্মানের। পরবর্তী বছর ডব্লিউসিআইটি ২০২১ এর আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ থাকবে। দেশী বিদেশী প্রযুক্তিবিদ, বিনিয়োগকারী এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রেমীদের কাছে আমরা শ্রেষ্ঠ একটি আয়োজন উপস্থাপন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

২০২০ উইটসা আইসিটি এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা ছয় প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিসিএস। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করতে তাদের উত্তরোত্তর সফলতা এবং অভিনব উদ্ভাবন দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

Share This:

*

*