বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে ক্লাস টিউন এখন একটি পরিচিত নাম। বিশ্বের অন্যান্য স্কুলগুলোর মতো বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে ক্লাস টিউনের ভুমিকা অনস্বিকার্য। এখন পর্যন্ত স্কুলগুলো রেজিষ্টার খাতায় উপস্থিতি থেকে শুরু করে, শিক্ষার্থীদৈরকে খাতায় বাসার কাজ বা ক্লাস লেকচার লিখে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে করে তাদের সময় এবং শ্রম দুটোই নষ্ট হয়। সেটাকে ঠিক কি করলে পড়ার সময়টাকে আরো বাড়িয়ে তাদের মেধা বিকাশকে আরো তরান্বিত করা যায় ঠিক এ চিন্তা থেকেই এবং নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই মূলত “ক্লাস টিউন”- লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফট্ওয়্যারটি তৈরী করা। এতে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আলাদা তিনটি প্যানেলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় সবকাজই করতে পারবেন। আন্তার্জাতিক এডুকেশন ও টেকনোলজি মেলা “বেট ২০১৬” তে অংশগ্রহনের মধ্যদিয়েই মূলত ক্লাসটিউনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
আর এরই ধারাবাহিকতায় এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশে অংশগ্রহন করছে- লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফট্ওয়্যার নিয়ে ক্লাস টিউন। গত দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফট্ওয়্যারটি তৈরী নিয়ে কাজ করছে টিউন। শুধু দেশীয় বাজার নয়, বিশ্ববাজারেও এর অবস্থান নিশ্চিত করার সম্পূর্ন প্রস্তুতি নিয়েই ক্লাসটিউন এর যাত্রা। বর্তমানে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে ১০টি স্কুল ক্লাস টিউন ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড, ইউকে, জার্মানী ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার যাচাই ও পরিবেশক নিয়োগ এর কাজ চলছে। সম্প্রতি বিশ্বের মোট ৫টি দেশে ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগও দিয়েছেন তারা।
স্কুলগুলোই মূলত এই সফট্ওয়্যারটির এন্ড ইউজার। স্কুলগলোর সাথে ক্লাসটিউনের রয়েছে আন্তরিক সম্পর্ক। আর তথ্যপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে রয়েছে দক্ষ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ টিম। এ ধরনের সিস্টেমের জন্য সার্ভিস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিক্রয় পরবর্তী সেবার জন্য প্রত্যোকটি স্কুলে ক্লাসটিউনের একজন প্রতিনিধিও নিশ্চিত করছেন তারা।
বাংলাদেশে আমরা এখন যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করি তারা খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কম্পিউটার ব্যবহার করিনা। আর তাই এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই মূলত ক্লাস টিউনকে এ্যান্ড্রয়েড এর অ্যাপসহ তৈরী করা হয়েছ। অবশ্যই ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব কিন্তু সেইসাথে খুব সহজেই শিক্ষক যেন ক্লাস উপস্থিতি তার স্মার্টফোন থেকে নিয়ে নিতে পারেন সেটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় ক্লাসটিউন তৈরীর সময়। আধুনিক যেকোন এ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন এর অ্যাপস্টোরে গিয়ে খুব সহজেই সফট্ওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেয়া সম্ভব।
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তক পণ্য ও সেবার উদ্ভাবনীতে দক্ষ মানব সম্পদের যেমন প্রয়োজন ঠিক সেইসাথে তৈরী পণ্যটি গ্রাহকের কাছে পৌছানোর জন্য প্রয়োজন হয় মার্কেটি, সেলস্ এবং বিক্রয়পরবর্তী সেবার। বিক্রয়পরবর্তী সেবার জন্য আমরা প্রত্যেকটি স্কুলে ক্লাসটিউনের একজন প্রতিনিধি নিশ্চিত করছি। শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রী বা অভিভাভকরা যেন সহজেই এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ক্লাসটিউন ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া চ্যাম্পস্২১ স্কুলভিত্তিক টিভি প্রোগ্রাম স্পেলিং বি, বাংলাদেশ ফার্স্ট, সায়েন্স রকসসহ ওয়েব, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সহ কাজ করে আসছে। আর তাই মানবসম্পদ, প্রযুক্তি, মার্কেটিং এবং সেলস্ এ সববিষয়ে পারদর্শি লোকবল নিয়েই চ্যাম্পস্২১ আজ এ পর্যায়ে।