ডিজিটাল কনটেন্ট শিক্ষা বিস্তারের নতুন হাতিয়ার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আজ বিসিসি অডিটোরিয়ামে ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কন্টেন্টসমূহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যকর ব্যবহারে করণীয় শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও মাঠ পর্যায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা বিস্তারে এই উদ্যোগ এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তর শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের (প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি) আলোকে ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত কন্টেন্টসমূহ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করেন।

এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টার-অ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তর’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ের ২১টি বইয়ের কন্টেন্ট প্রস্তুত করা হয়। কন্টেন্টসমূহ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি/প্রধান শিক্ষকগণ, পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণ, NCTB ও NAPE এর বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞগণ, কালার ও এনিমেশন বিশেষজ্ঞগণের সরাসরি অংশগ্রহণে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রণীত বই ও কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। কন্টেন্ট প্রস্তুতের সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়। ব্র্যাক ও সেভ দ্য চিলড্রেন এক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে। সেভ দ্য চিলড্রেন ১ম-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজী বইয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট বিনামূল্যে প্রস্তুত করে দেয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিজিটাল কন্টেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কন্টেন্ট-এর বিশেষ দিক হলো এটি শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। এখন পর্যন্ত ২২লক্ষ ৫০ হাজার কন্টেন্ট ডাউনলোড করা হয়েছে। প্রযুক্তির যেনো বৈষম্য কোথাও না হয় এজন্য শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় সমান গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এই ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্ট।  এর ফলে শৈশব থেকেই আমাদের শিশুদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী হবে । পরবর্তী পদক্ষেপ হলো নিয়োমিত আপডেট ও পরিমার্জন করা। ইতোমধ্যে ১৩০০০ স্কুলে ডিভাইস দেওয়া হয়েছে। ৮০০০ স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম আছে। এরমধ্যে ১০০ ক্লাসরুম ব্র্যাক করেছে। আমরা দৃঢ় আশাবাদী যে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর নারানন চন্দ্র সাহা।

Share This:

*

*