ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর ওমেন ২০১৭

দেশের নারীদের প্রযুক্তি ব্যবসায় আগ্রহী করে তুলতে “ওমেন ইন ডিজিটাল” এর উদ্যোগে গতবারের মত এবারও সাফল্যের সঙ্গে নারীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর ওমেন ২০১৭’। ১৪ই অক্টোবর,২০১৭ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দেড় মাসব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ছিল ওমেন ইন ডিজিটাল, প্রযোজনায় ছিলমাইক্রোসফট এবং সহযোগিতায় ছিলো ডেইলি স্টার। পুরষ্কার বিতরণী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন(ডঃ মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল, প্রোফেসর,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়),(সোনিয়া বশির কবীর, পরিচালক অধিকর্তা, মাইক্রোসফট),(এম এ আওয়াল, সংসদ সদস্য, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর), (সুশান্ত কুমার সাহা, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি, আইসিটি ডিভিশন), (আব্দুল খায়ের পাটোয়ারী, উপদেষ্টা, ওমেন ইন ডিজিটাল), (ডঃ ইয়াসমিন হক,প্রোফেসর,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), (মুস্তফা জব্বার, সভাপতি, বেসিস),(ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি, বাসিস),(তৌহিদহোসেন, প্রতিষ্ঠাতা ফিফো টেক), (আছিয়া খালেদা নীলা প্রতিষ্ঠাতা ওমেন ইন ডিজিটাল)।

অনুষ্ঠানে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিপ্লবের দর্শন। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি তরুণ প্রজন্মের উপর নির্ভরকরে। তারা শিখতে আগ্রহী এবং এই শিখার আগ্রহ এই সম্মিলিত ভাবে সমগ্র বিশ্বের জয় লাভ করতে সাহায্য করবে।“

ডঃ মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল বলেন “ আইসিটি বাংলাদেশের সমগ্র পরিবেশ পরিবর্তন করতে পারে এবং দিন দিন এটি অনেক দূর যাবে।আইসিটি প্ল্যাটফর্মে আজকের মহিলাদের কাজ এবং উন্নয়ন সত্যিই প্রশংসনীয়। সুতরাং, সব মেয়েদেরএকটি উদ্ভাবনী ব্যক্তির মত এগিয়ে আসতে হবে।’’

সোনিয়া বশির কবীর বলেন “জয়ী মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল এবং আরও ভাল কিছু পেতে চাইার আশা করি। “তিনি তাদের অংশগ্রহণের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করেন|”

অনুষ্ঠানে আছিয়া খালেদা নীলা বলেন, বাঙ্গালী নারীর সৃজনশীলতাকে প্রোগ্রামিং ও উদ্ভাবন দেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আগামী দিনগুলোতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনও উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে যা আমাদের আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ইনোভেশন ফর ওমেন শীর্ষক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে সমগ্র বাংলাদেশ সর্বমোট ১৯২টি প্রকল্প নিয়ে ২৬৫ জন নারী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ তিন উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে শীর্ষস্থান অধিকার করে “স্বয়ংক্রিয় পোর্টেবল বায়ো-প্ল্যান্ট’’ শীর্ষক প্রকল্প। এছারা প্রথম রানার্স আপ হয় মিলিতভাবে “সুপারডোনার’’ এবং “হারানোবিজ্ঞপ্তি’’ ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় “টিচারটাইম”|

Share This:

*

*