২০০৯ সালে জাতি সংঘের ৪র্থ ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফোরাম সভা অনুষ্ঠিত হয় মিশরে দ্বীপ শহর শারম আল শেখে। সেখানেই মিটিং হয় ডটবাংলা ডোমেইন নিয়ে। Internet Corporation for Assigned Names and Numbers (ICANN)- রাজিও হয় বাংলাদেশকে ডটবাংলা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারীর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে টপলেভেল ডোমেইন ডট বাংলার জন্য আইকানে অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম সাবমিট করেন। এরপর শুরু হয় কারিগরী বিষয়। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে আজ আমরা দীর্ঘ ৬ বছর পর আমরা তার অনুমোদন পেলাম। তবে নানান জটিলতার কারনে বিটিসিএলকেই অনুমোদন দিচ্ছিল না ICANN। শেষ পর্যন্ত সেই কারিগরি জটিলতার সমাধানে অনুমোদন মিলে ডট বাংলার।
গতকাল সন্ধ্যায় টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ বিষয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসও দেন। তিনি বলেন, অবশেষে ‘ডট বাংলা ডোমেইন’ বাংলাদেশের অনুকূলে অনুমোদিত। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরেকটি কাজ সম্পন্ন হলো। অনেক চেষ্টার পর ‘ডট বাংলা ডোমেইন’ বাংলাদেশের অনুকূলে “ICANN” কর্তৃক বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ডোমেইনটি পাবার জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও সিয়েরা লিওনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বাংলাদেশের পক্ষে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পক্ষে, “ICANN” এর কাছে তুলে ধরি যে, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ; যারা মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এ ভাষার উপর বাংলাদেশের জনগণের অধিকার সর্বাগ্রে। ডট বাংলা ডোমেইনটি বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদানের জন্য আমি “ICANN” কে একাধিক অনুরোধপত্র প্রদান করেছি। আজ “ICANN” কর্তৃক ডট বাংলা ডোমেইনটি বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দ প্রাপ্ত হওয়ায় বাংলা ভাষার এই অর্জন-মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট সকলকে অত্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।