১৫০ টির বেশি দেশের ১০০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীসহ ৩ হাজারের বেশি প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ’দ্যা সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ফোরাম জেনেভায় শুরু হয়েছে।‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি‘ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ৫দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।
বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশিদারদের প্লাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস ফোরাম-১৯ এর চেয়ারম্যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ফোরামের কো-চেয়ারম্যান আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাউ গতকাল ডব্লিউএসআইএসের এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন।
আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘের এ রকম বড় কোনো সামিটের চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম।
এর আগে মন্ত্রীর সাথে জেনেভায় তার অফিসকক্ষে আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাউ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তারা ফোরামের সার্বিক বিষয়াদি ছাড়াও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলে সম্মেল সূত্রে জানানো হয়।
বাংলাদেশের চেয়ারম্যানশিপকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে, বৈঠকে উল্লেখ করেন হাউলিন ঝাউ। বৈঠকে ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ও ইন্টারনেট ডেনসিটির দ্রুত প্রসার, তৃনমূল জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়া, ই-গভর্ণমেন্ট, ই-কমার্সসহ তথ্যযোগাযোগ অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিভিন্ন কর্মসূচি ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
হাউলি বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর বহু দেশের কাছে রোল মডেল। ফোরামে অংশগ্রহণকারি বিশ্ব নেতাদের তিনি অভাবনীয় অগ্রগতির বাংলাদেশকে অনুসরণ করার জন্য পরামর্শ দেবেন বলে হাউলি জানান। মোস্তাফা জব্বার আইটিইউ মহাসচিবকে এই ক্ষেত্রে তার সরকারের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক উপস্থিত ছিলেন ।