কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান) চলছে ৫ দিনব্যাপী “ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৯” । আজ এ মেলার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। দশমবারের মতো আয়োজিত ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ারের এবারের শ্লোগান- গো ডিজিটালি মেক ইয়োর লাইফ হ্যাসল ফ্রি ।
প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সার্থকভাবে ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে এত বড় মার্কেট নেই। এখানে ব্যবসায়ীরা শুধু ব্যবসা করেন না, বাংলাদেশের মানুষকে কম্পিউটার পৌছে দিতে এবং দক্ষতা তৈরি করতে কাজ করছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছি। আমরা ২১ সালে ৫০ বছর পালন করব। বিশ্বকে দেখিয়ে দিব আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পযন্ত যে রুপন্তার হয়েছে। তা আপনারা দেখেছেন। আমাদের এখন গ্রামের মানুষেরা এখন সম্মাটফোনের মাধ্যমে অ্যাপ ব্যবহার করতে শিখেছে। বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে সব ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক্স পৌছানো হবে। ইন্টারনেটের ক্ষতিকারক দিকও আছে কিন্ত আমরা বসে নেই গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর এই সময় পযন্ত ২২ হাজার পন সাইট বন্ধ করেছি। একই সাথে ভূয়া সাইটগুলোও বন্ধ করেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো: হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু মোতালেব, হাফেজ হারুন, খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আব্দুস সালাম, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন আহমেদ । তাঁরা সবাই তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশর অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার সিটি সেন্টারে সভাপতি ও মেলার আহ্বায়ক জনাব তৌফিক এহেসান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “ডিজিটাল পদ্ধতি মানুষের জীবনের সমস্যা দূর করতে পারে। আমাদের সামনে আসছে আইওটিসহ নানা প্রযুক্তি। আমাদের তাই হার্ডওয়্যার খাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের এ বিশাল আয়োজনে আমরা সব মানুষের জীবনকে যাতে সহজ প্রযুক্তিময় জীবন দিতে পারে তার ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা এ রকম একটি মেলার আয়োজনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। মেলায় তাদের জন্য নতুন পণ্য যেমন আসে তেমনি ছাড় আর উপহার পাওয়া যায়। কম্পিউটার সিটি সেন্টারে সব প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। আশা করছি এবারে ১০ লাখের বেশি মানুষ মেলা পরিদর্শন করবেন।”
মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে- এসার, ডেল, এইচপি, ক্যাসপারস্কাই। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে- আসুস, লেনোভো, এডাটা। সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে- ডাহুয়া ও টিপি-লিংক। স্পন্সর হিসেবে রয়েছে- ইসেট, টেনডা, ট্রানসেন্ড, ওয়েব লিংক। গেমিং পার্টনার হিসেবে রয়েছে- গিগাবাইট।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকবে শিশু কিশোর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ফ্রি গেমিং ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রভৃতি সুবিধা। মেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মুল্যে ১০ টাকা। স্কুল/কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফ্রি। মেলা শেষ হবে ১৮ অক্টোবর।